লাভজনক ও জনপ্রিয় ৫টি স্টক ব্যবসার আইডিয়া

স্টক ব্যবসার আইডিয়া

স্টক ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে জানতে ও কাজ করতে আপনি কি আগ্রহী? যদি আপনি এই ব্যাপারে আগ্রহী হয়ে থাকেন তবে এই আর্টিকেলটি আপনার উপকারে আসবে। একথা অনস্বীকার্য যে ব্যবসার ক্ষেত্র দিন দিন আগের চাইতে প্রসারিত ও প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে। আর এই বিশাল প্রতিযোগিতামূলক ব্যবসার দুনিয়ায় আপনি যদি নিজের আলাদা পরিচয় বানাতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই নিজের ব্যবসা শুরু করতে হবে।

বিভিন্ন ধরনের স্টক ব্যবসা রয়েছে, প্রতিটি আলাদা আলাদা বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন এবং লাভ ও ঝুঁকির পরিমাণ ও ভিন্ন।স্টক ব্যবসার আইডিয়া (stock business ideas) নিয়ে এই আর্টিকেল এ আমরা আলোচনা করব। এসব স্টক ব্যবসার যেকোন একটি সঠিকভাবে করতে পারলে আপনি এমনকি দ্রুত কোটিপতি ও হয়ে যেতে পারেন।

চলুন তাহলে বর্তমান সময়ের লাভজনক ও জনপ্রিয় ৫টি স্টক ব্যবসা সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

স্টক ব্যবসার আইডিয়া কি ও কিছু স্টক ব্যবসার তালিকা

বর্তমান সময়ে একটি জনপ্রিয় ব্যবসা এর নাম হল স্টক ব্যবসা। ধরুন কোন ধরণের সিজনাল প্রোডাক্টকে স্টোর করে নন-সিজনাল সময়ে সেল করার একটি পপুলার ব্যবসা হল স্টক ব্যবসা। ধরুন আপনার যদি মোটামুটি পুঁজি থাকে আপনি চাইলে এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। শুরুতে একটু বুঝতে সময় লাগলেও আপনি যদি একবার এ ব্যবসার ধাঁচ বুঝতে পারেন তাহলে আপনি খুব সহজে এই ব্যবসার মাধ্যম লাভবান হতে পারবেন। 

তবে এই ব্যবসাটি বেশ চ্যালেঞ্জিং হতে পারে। এমন না যে আপনি এখুনি ব্যবসা শুরু করলেন আর এখুনি প্রফিট পাবেন। এই ব্যবসাকে সফল করতে হলে আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য্য এবং পর্যাপ্ত প্ল্যানিং নিয়ে স্ট্রাটেজি সাজাতে হবে। আপনাকে জানতে হবে কখন স্টক করার সঠিক সময় এবং কখন আপনার স্টক করা পণ্যটি উপযুক্ত লাভে বিক্রি করতে হবে। একই সময় আপনাকে স্টককালীন ও বিক্রয়কালীন সময়ের সম্ভাব্য ঝুঁকি মোকাবেলায় বিকল্প ব্যবস্থা প্রস্তুত রাখতে হবে।

তাহলে চলুন জনপ্রিয় কিছু লাভজনক স্টক ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে জেনে নিই।

পেঁয়াজ এর স্টক ব্যবসা

পেঁয়াজ এর স্টক ব্যবসা এমন একটি ব্যবসা যেটা সারাবছরই দাম উঠানামার কারণে আলোচনায় থাকে। যেহেতু এটি একটি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, তাই চাহিদার সাথে দামের উঠানামা থাকবে এটা স্বাভাবিক। আর পেঁয়াজ এর স্টক ব্যবসাতে লাভ করার সুযোগ এখানেই। আর এই ব্যবসায়ে বড় বড় সিণ্ডিকেট ব্যবসায়ী জড়িত থাকাও এর মূল্য উঠানামার বড় একটা কারণ।

তো, পেঁয়াজ এর স্টক ব্যবসাটি আপনি কিভাবে করতে পারেন? একটা উদাহরন দিয়ে বুঝিয়ে দেই। আমরা সবাই জানি রমজান অথবা কোরবানি ইদ এর সময় পেঁয়াজ এর চাহিদা তুঙ্গে থাকে। স্বাভাবিক ভাবে এই সময় পেঁয়াজ এর দাম তার স্বাভাবিক দামের চাইতে বেশ কিছুটা বাড়বে।

আপনি এই সময়ের অল্প কিছুদিন আগে পাইকারি বাজার থেকে আপনার বিনিয়োগ ও স্টক রাখার সক্ষমতা সাপেক্ষে পেঁয়াজ সংগ্রহ করবেন এবং উল্লিখিত সময়ে দাম বাড়লে উপযুক্ত লাভে খুচরা বিক্রেতাদের নিকট বিক্রি করে দিবেন।

ধরুন, আপনি পাইকারি বাজার থেকে ৬০ টাকা কেজি ধরে ৪০০ কেজি পেঁয়াজ ১ মাস সময়ের জন্য স্টক করলেন। আপনার বিনিয়োগ হল ২৪০০০ টাকা। ধরে নেয়া হল, ১ মাস পরে বাজারের পেঁয়াজ এর পাইকারি দাম ৭৫ টাকা কেজি। তখন আপনি বাজারমুল্যে আপনার স্টক এ থাকা সব পেঁয়াজ মার্কেট এ বিক্রি করে দিলেন। এতে আপনার লাভ হল ৬০০০ টাকা। রক্ষনাবেক্ষন ও আনুষঙ্গিক খরচ ধরলাম ৩০০০ টাকা। এক্ষেত্রে আপনার নিট লাভ হল ৩০০০ টাকা। অর্থাৎ, ২৪০০০ টাকা বিনিয়োগে ১ মাসে আপনার নিট লাভ হল ৩০০০ টাকা।

স্টককৃত পেঁয়াজ
এর পরিমাণ (কেজি)
পাইকারি মূল্য
(কেজি)
মোট বিনিয়োগ
(টাকা)
বিক্রয় মূল্য
(কেজি)
মোট বিক্রয় মূল্য
(৪০০ কেজি/টাকা)
খরচ (টাকা)নিট লাভ (টাকা)বিনিয়োগ এর বিপরীতে লাভের মার্জিন (%)
৪০০৬০২৪০০০৭৫৩০০০০৩০০০৩০০০১২.৫%
উদাহরনস্বরূপ পেঁয়াজ স্টক এর ব্যবসায় সম্ভাব্য লাভের মার্জিন

একটু খেয়াল করুন, শুধু একটি স্টক এর চালানে ১ মাসে আপনার নিট লাভ দাঁড়াচ্ছে ১২.৫%, যেটা বাৎসরিক হিসাবে দাড়ায় ১৫০%। এরকম অবিশ্বাস্য লাভের মার্জিন স্টক ব্যবসাতে করা সম্ভব যদি আপনি ব্যবসাটি সঠিক ভাবে করতে পারেন।

তবে এই ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাকে পেঁয়াজ এর স্টকটি একটা নির্ধারিত সময় পর্যন্ত যাতে নষ্ট না হয়ে সেই ব্যবস্থা করতে হবে। এই ক্ষেত্রে আপনি পেশাদার হিমাগার এর সহায়তা নিতে পারেন। এখানে স্টক রাখার জন্য আপনার একটা নির্ধারিত খরচ হবে যেটি আপনি পরে বিক্রয় করার সময় বিক্রয়মুল্যের সাথে সমন্বয় করে নিবেন।

পেঁয়াজ যেহেতু একটি পচনশীল পণ্য, তাই এই স্টক ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে কাজ করার সময় স্টকটি যাতে নষ্ট না হয় সেদিকে সতর্ক খেয়াল রাখতে হবে।

সম্পর্কিত আর্টিকেল পড়ুন- দৈনিক আয়ের ব্যবসা

পেঁয়াজ এর স্টক ব্যবসার আইডিয়া

ডিম এর স্টক ব্যবসা

এতক্ষন নিশ্চয়ই আমরা স্টক ব্যবসা সম্পর্কে মোটামুটি জেনেছি। এখন স্টক ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে কথা যদি বলি তাহলে আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে দ্বিতীয় অবস্থানে ডিমকে রাখতেই হবে। বছরব্যাপী চাহিদা সম্পন্ন প্রোটিনের একটি উৎকৃষ্ট উৎস হল ডিম। ছোট থেকে বড় সকল বয়সী মানুষের ডিমের চাহিদা থাকার কারণে বছর জুড়ে ডিমের বাজার সবসময় অস্থির থাকে। 

কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হলে ও সত্য, আমাদের দেশে কিছু সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের কাছে সবসময় ডিমের বাজার জিম্মি থাকে। যার কারণে ডিমের বাজারের অধিকাংশ সময়ই দাম বাড়তির দিকেই থাকে, দাম উঠানামা করে। তাছাড়া ডিমের দাম বাড়ার সাথে ডিম এর যোগানের ব্যাপার ও থাকে। এই যে যেমন শীতের দিকে ডিমের উৎপাদন কমে যাওয়ার কারণে বাজারে ডিমের যোগান কমতির দিকে থাকে এবং দাম বাড়তির দিকে থাকে।

বছরব্যাপী চাহিদা রয়েছে, দামও উঠানামা করে, এরকম ব্যবসাই স্টক ব্যবসার জন্য পারফেক্ট। তাই আপনি চাইলে ডিমের স্টক ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন। ডিম এর চাহিদা বাড়তে পারে এরকম সিজনগুলোর আগে ডিম স্টক করে রেখে পরে দাম বাড়লে বিক্রি করে দিতে পারেন।

ডিম এর স্টক মেইনটেইন করা ও স্পর্শকাতর ব্যাপার কারণ ডিম অতিরিক্ত গরম বা নির্দিষ্ট তাপমাত্রার বেশী তাপে নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই ডিম এর মত আইটেম বেশি সময় স্টক রাখা ঝামেলাপূর্ণ। এই ব্যাপারটি খেয়াল রাখতে হবে। আপনার যদি বেশি স্টক করা থাকে তাহলে অল্প লাভেই স্টক করা ডিম বিক্রি করে দেয়া ভালো, এতে ঝুঁকির সম্ভাবনা কমে যাবে। স্টক ব্যবসা হিসেবে পেঁয়াজ এর মতই ডিমের ক্ষেত্রে ও ১০-১২% নিট লাভ করা সম্ভব।

সম্পর্কিত আর্টিকেল পড়ুন- ১ লাখ টাকায় ব্যবসা

ডিম এর স্টক ব্যবসার আইডিয়া

আলুর স্টক ব্যবসা

আমাদের দেশে সারা বছরজুড়ে চাহিদাসম্পন্ন একটি পণ্য হল আলু। কিন্তু বর্তমান সময়ে সবচেয়ে বেশি অস্থিতিশীল হয়ে উঠেছে আলুর বাজার। সামান্য কিছু সিন্ডিকেট এর কারসাজি এবং চাহিদা ও যোগানের ভারসাম্যহীনতা এর কারণে আজ আলুও হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষের জন্য কষ্টসাধ্য। কিন্তু দাম এত বাড়ার পরেও আলুর চাহিদা কমেনি কারণ সবজি হিসেবে আলু এই দেশে খুবই কমন এবং জনপ্রিয় একটি খাবার।

স্টক ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে আপনি যদি কাজ শুরু করতে চান, সেক্ষেত্রে আলুর স্টক ব্যবসা হতে পারে সবচাইতে ভালো ও লাভজনক একটি অপশন। কারণ বছরজুড়ে এর চাহিদা থাকে পাশাপাশি এটি আমাদের দেশেই উৎপাদন হচ্ছে। এক্ষেত্রে আপনি যদি সিজনের শুরুতে আলু কিনেন চাষিদের থেকে তাহলে আপনি তা স্টক করে দাম বাড়তির দিকে যখন থাকবে তখন বিক্রি করতে পারেন।

তুলনামুলক কম হলে ও আলু ও ডিম বা পেঁয়াজ এর মত কিছুটা পচনশীল পণ্য। তবে একটা নির্দিষ্ট তাপমাত্রায় খোলা জায়গায় আলু ১৫-২০ দিনের মত কোন ঝামেলা ছাড়াই সংরক্ষণ করা যায়। তবে সিজনের এর প্রথমদিকে সরাসরি প্রান্তিক চাষি থেকে আলু সংগ্রহ করে সেটা যদি হিমাগার এ সংরক্ষন করতে পারেন, তাহলে সেক্ষেত্রে আলুর স্টক ব্যবসাতে আপনার .২০০% এর ও বেশী লাভ হবার সম্ভাবনা থাকবে। অল্প সময়ের মধ্যে বেশি লাভ করার জন্য অন্যতম একটি লাভজনক স্টক ব্যবসা হল আলুর স্টক ব্যবসা।

সম্পর্কিত আর্টিকেল পড়ুন- ২ লাখ টাকায় ব্যবসা

আলু এর স্টক ব্যবসার আইডিয়া

মসলার স্টক ব্যবসা

কোন খাবারকে মুখরোচক করে তুলতে মসলার জুড়ি নেই। খাবারের স্বাদ বাড়িয়ে তুলতে এবং মুখরোচক করে তুলতে মসলা হল উৎকৃষ্ট একটি উপাদান। জাতি হিসেবে আমরা বরাবরই ভোজন রসিক এবং মসলাযুক্ত খাদ্যের প্রতি আমাদের আলাদা একটা আকর্ষণ রয়েছে। । আর এ কারণে আমাদের এই দেশে সারা বছর ধরেই মসলার চাহিদা তুংগে থাকে।

আপনি যদি স্টক ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে কাজ শুরু করতে চান সেক্ষেত্রে মসলাকে বেছে নিতে পারেন। এটি বেশ চাহিদাসম্পন্ন এবং লাভজনক একটি ব্যবসা। মসলা জাতীয় আইতেম পেয়াজ, আলু অথবা ডিম এর মত পচনশীল বা দ্রুত নষ্ট হয়ে যাওয়ার মত সংবেদনশীল নয়। তাই স্টক ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে এটি অনেক বেশী ঝুকিমুক্ত এবং লাভের সুযোগ ও অনেক বেশি।

এই স্টক ব্যবসাটি করার আগে আপনাকে জানতে হবে সাধারণত বছরের কোন কোন সময় মসলার চাহিদা স্বাভাবিক এর তুলনায় বেশী বাড়তে পারে। শীতকালে সাধারণত এদেশে বিয়ের প্রোগ্রাম বেড়ে যায়, দুই ইদ বিশেষ করে কোরবানির ইদ এর সময় মসলার চাহিদা বেশী বাড়ে। তাছাড়া উৎপাদন কম হওয়া, অতিবৃষ্টি বা অনাবৃষ্টি এর কারণে নির্দিষ্ট মসলাজাত পন্যের যোগান কমে দাম বেড়ে যেতে পারে। এরকম বিষয়গুলো মসলার স্টক ব্যবসা এর ক্ষেত্রে মাথায় রেখে স্টক করতে পারলে ভালো লাভ করা সম্ভব। মসলা জাতীয় পন্যের স্টক ব্যবসাতে কোন কোন মসলার আইটেম এ ১০০-১৫০% ও লাভ করা সম্ভব।

সম্পর্কিত আর্টিকেল পড়ুন- ১০ হাজার টাকায় লাভজনক ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া

মসলা এর স্টক ব্যবসার আইডিয়া

মধুর স্টক ব্যবসা

যদি আপনার মধুর স্টক ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে ধারনা থাকে তাহলে আপনি জেনে থাকবেন শীতকালে সাধারনত মধুর চাহিদা স্বাভাবিক এর তিন-চারগুন ও বেড়ে যায়। যদি ও সারাবছরই মধুর চাহিদা থাকে কিন্তু শীতকালে এর চাহিদা অনেক বেশী বেড়ে যায়। মধু স্টক করা ও ঝামেলার কাজ না কারণ এটি পচনশীল না এবং স্বাভাবিক তাপমাত্রায় দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায়।

ইদানিং কালে অনেকেই মধু চাষ করে থাকেন, ফলে সারাবছরই এখন মধু পাওয়া যায়। কিন্তু প্রাকৃতিক ভাবে মধু সংগ্রহের উৎসগুলো থেকে মধু সংগ্রহের নির্দিষ্ট সিজন থাকে এবং এগুলো দাম ও বেশী পাওয়া যায়। যারা খাঁটি মধু সংগ্রহ করতে চান তারা সাধারণত নিখাদ প্রাকৃতিক উপায়ে সংগ্রহীত মধু কিনে থাকেন। তাই সিজনে যেহেতু মধুর দাম তুলনামূলক কম থাকে তখন যদি আপনি প্রাকৃতিক উপায়ে সংগ্রহীত মধু স্টক করে রাখতে পারেন তাহলে পরে এটি ভালো লাভে বিক্রি করতে পারবেন।

মধুর স্টক ব্যবসা অন্য স্টক ব্যবসাগুলো থেকে অনেক কম ঝুঁকির এবং লাভের পরিমাণ ও বেশী বিধায় এই ব্যবসাটি দিন দিন জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।

সম্পর্কিত আর্টিকেল পড়ুন- ছোট ব্যবসার আইডিয়া

মধু এর স্টক ব্যবসার আইডিয়া

লাভজনক আরও কিছু স্টক ব্যবসার আইডিয়া

উপরে উল্লিখিত স্টক ব্যবসাগুলো বাছাই করা জনপ্রিয় স্টক ব্যবসা। কিন্তু বিশাল এই ব্যবসার ক্ষেত্রে আরও বেশ কিছু লাভজনক ও জনপ্রিয় স্টক ব্যবসা রয়েছে যেগুলো আপনার ভাগ্য পরিবর্তন করে দিতে পারে।

  • হলুদের স্টক ব্যবসা।
  • আদার স্টক ব্যবসা।
  • সুপারির স্টক ব্যবসা।
  • মসুরির ডালের স্টক ব্যবসা।
  • নারিকেল এর স্টক ব্যবসা।
  • চাউলের স্টক ব্যবসা।
  • ধানের স্টক ব্যবসা।
  • বাদামের স্টক ব্যবসা।
  • বিল্ডিং ম্যাটারিয়ালস এর স্টক ব্যবসা।
  • রসুনের স্টক ব্যবসা।
  • কাপড়ের স্টক ব্যবসা।

স্টক ব্যবসায়ে সফল হতে করনীয়

শুধু বিনিয়োগ থাকলেই হয়না, বিনিয়োগের যথাযথ ব্যবহার এ নিশ্চিত হয় ব্যবসায়িক সফলতা। স্টক ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে কাজ করে সফল হতে কি কি করনীয়, নিচে সে সম্পর্কে ধারনা দেয়া হল। আশা করি এই টিপস আপনাকে ব্যবসায়িক ভাবে সহযোগীতা করবে।

  • দ্রুত পচনশীল পণ্য বাদ দিয়ে দীর্ঘদিন সংরক্ষণ করা যায় এমন পণ্যকে স্টক ব্যবসায়ে প্রাধান্য দিতে হবে।
  • পচনশীল পন্যের স্টক এর ক্ষেত্রে এর রক্ষনাবেক্ষন এ সতর্ক হতে হবে।
  • নির্দিষ্ট একটি পণ্য স্টক এ বিনিয়োগ না করে কয়েকটি পণ্য স্টক এ বিনিয়োগ করতে হবে। এতে নির্দিষ্ট কোন স্টক এ লস হলে অন্য স্টক দিয়ে পুষিয়ে নেয়ার সুযোগ থাকবে।
  • বিনিয়োগের একটি অংশ রিজার্ভ হিসেবে রাখতে হবে, আপদকালিন পরিস্থিতি আসলে সেটা ম্যানেজ করার জন্য।
  • স্টক করা পন্যের মার্কেট এ ক্রয় বিক্রয় রেট সম্পর্কে আপডেট থাকতে হবে।
  • অধিক পরিমাণ স্টক থাকলে কয়েক ভাগে স্টক বিক্রি করে দেয়া উত্তম। সর্বাপেক্ষা বেশী দাম এর জন্য অপেক্ষা করে পুরো স্টক কে ঝুঁকির মুখে না ফেলা উচিত নয়।
  • যে পণ্যটি স্টক করবেন, সেটি সর্বনিম্ন দামে সংগ্রহ করার চেস্টা করতে হবে। এক্ষেত্রে প্রান্তিক চাষি থেকে সংগ্রহ করার চেষ্টা করতে হবে।
  • স্টক ব্যবসায়ে লাভ হল কম দামে স্টক করে বেশী দামে বিক্রি। স্বল্পমেয়াদি বিনিয়োগের টাকা নিয়ে স্টক ব্যবসায়ে না নামাই উত্তম। কারণ পণ্যের দাম কখন বাড়বে সেটা আপনি অনুমান করতে পারবেন কিন্তু নিশ্চিত সময় আপনি অনুমান করতে পারবেন না। এখন আপনার জরুরী টাকার প্রয়োজনে যদি স্টক করা পণ্য বিক্রি করতে হয় তাহলে এই ব্যবসায়ে আপনি লাভ করতে পারবেন না। এমনকি লস ও দিতে হতে পারে।

উপরে উল্লিখিত টিপস গুলো মাথায় রেখে স্টক ব্যবসা করলে এই ব্যবসায়ে সফল হওয়া সম্ভব।

আরও পড়ুন- বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা

লস ছাড়া ব্যবসা

FAQ

স্টক ব্যবসা কি হালাল?

যে ব্যবসায়ে লাভ লস দুটোরই সম্ভাবনা আছে সে ব্যবসা হালাল। যেহেতু স্টক ব্যবসায়ে ঝুঁকি আছে এবং লাভ লস দুটোরই সম্ভাবনা আছে তাই স্টক ব্যবসা হালাল বলা যায়।

স্টক ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে হলুদের স্টক ব্যবসা কি লাভজনক?

হলুদের স্টক ব্যবসা শতভাগ লাভজনক একটি স্টক ব্যবসা। যদি আপনি প্রান্তিক চাষি থেকে কাঁচা হলুদ কিনে শুকিয়ে স্টক করে রেখে নন সিজনে বিক্রি করেন তাহলে হলুদের স্টক ব্যবসায়ে দ্বিগুণ লাভ ও হতে পারে। তবে আপনাকে অবশ্যই ভালো কোয়ালিটির হলুদ সংগ্রহ করতে হবে।

৩ লাখ টাকায় কোন ষ্টক ব্যবসা আছে কি?

৩ লাখ টাকায় করা যায় এমন কিছু ষ্টক ব্যবসা রয়েছে।
১। আদার ষ্টক ব্যবসা।
২। হলুদের ষ্টক ব্যবসা।
৩। চাউলের ষ্টক ব্যবসা।
৪। পেঁয়াজ, আলু, ডিম এর ষ্টক ব্যবসা।
৫। রসুনের ষ্টক ব্যবসা।
৬। মসলার ষ্টক ব্যবসা।
৭। শুকনা খেজুর এর ষ্টক ব্যবসা।
৮। গম, ভূট্টা এর ষ্টক ব্যবসা।
৯। বাদাম এর ষ্টক ব্যবসা।
১০। ডাল এর ষ্টক ব্যবসা।

Similar Posts

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।