ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড কি লাভজনক ও নিরাপদ বিনিয়োগ?
প্রবাসীরা দীর্ঘ সময় দেশের বাইরে থাকেন। অনেকে হয়তো আমৃত্যু দেশে ফিরেনও না। সাধারনত তারা তাদের উপার্জনের বড় অংশ পরিবার পরিজনকে পাঠান এবং কিছু টাকা নিজের প্রয়োজনে ব্যবহার করেন। এই মানুষেরা মূলত আলাদাভাবে বিনিয়োগ করার সুযোগ পান না। বা পেলেও অন্যের উপর ভরসা করে তাকে নানা ক্ষেত্রে বিনয়োগ করতে হয়। কিন্তু সেই বিনিয়োগে থাকে নানা আশংকা ও সংশয়।
তাই, প্রবাসীরা তাদের মাসের খরচ মেটানোর পর যে টাকা সঞ্চয় করেন, তা দেশে পাঠিয়ে তারা যাতে লাভবান হতে পারেন, সেজন্য বাংলাদেশে কিছু বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে।
ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড ২০২৩-বিনিয়োগের মাধ্যম
ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড ২০২৩
বিনিয়োগের মাধ্যমগুলো হল-
১। ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড
২। তিন বছর মেয়াদি ইউএস ডলার প্রিমিয়াম বন্ড
৩। ইউএস ডলার ইনভেস্টমেন্ট বন্ড।
এই আর্টিকেল এ ওয়েজ আর্নার স্কিম বা ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড সম্পর্কে বিস্তারিত দেয়া হল যাতে আপনার বুঝতে সুবিধা হবে এই বন্ডে বিনিয়োগ নিরাপদ ও লাভজনক কিনা।
ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড কি?
Wage Earner Development Bond বা ওয়েজ আর্নার স্কিম কি? হলো বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রবর্তিত এক প্রকার মুনাফাভিত্তিক সঞ্চয় বন্ড । বিদেশে কর্মরত প্রবাসী বাংলাদেশী এবং বাংলাদেশী বংশোদ্ভুত বিদেশী নাগরিকগণকে তাদের উপার্জিত বৈদেশিক মুদ্রা বিনিয়োগ করে ভালো পরিমাণ লাভের সম্ভাবনা নিশ্চিত করে, বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য আকৃষ্ট করার লক্ষ্যে ১৯৮১ সনে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড নামক সঞ্চয় বন্ড প্রবর্তন করেছে।
ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড কারা কিনতে পারবে?
বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশী ওয়েজ আর্নারগণ নিজ নামে বা আবেদনপত্রে উল্লিখিত তার মনোনীত ব্যক্তির নামে অথবা দেশে প্রেরিত বৈদেশিক মুদ্রার বেনিফিসিয়ারীর নামে এ বন্ড ক্রয় করতে পারেন।
ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড এ বেনিফিসিয়ারী ওয়েজ আর্নার নিজে অথবা তার নির্ধারিত বাংলাদেশে বসবাসকারী ব্যক্তি যার নামে তিনি রেমিটেন্স পাঠান। এর বাইরে, বিদেশে লিয়েনে কর্মরত বাংলাদেশী সরকারি, সংবিধিবদ্ধ সংস্থা, স্বায়ত্তশাসিত ও আধা-স্বায়ত্তশাসিত সংস্থার কর্মকর্তা ও কর্মচারী এবং বিদেশে বাংলাদেশী দূতাবাসে কর্মরত বাংলাদেশ সরকারের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণও এ বন্ড ক্রয় করার সুযোগ পান।
প্রবাসে আয় করলেই কি ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড কেনা যায়?
এই প্রশ্নের উত্তর হল, না। প্রবাসে আয় করলেই উচ্চ সুদের এই ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড কেনা যায়না। দেশের বাইরে থাকা বাংলাদেশীদের মধ্যে কারা এই বন্ড কিনতে পারবেনা, তা বাংলাদেশ সরকারের অর্থ মন্ত্রণালয় নির্দিষ্ট করে দিয়েছে।
১) প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিক যিনি দেশের বাইরে চাকরির বিপরীতে বৈদেশিক মুদ্রায় পেনশন এর অর্থ পান তারা এই বন্ড কিনতে পারবেন না।
২) দেশের বাইরে থেকে পেনশন এর অর্থ পান, কিন্তু বর্তমান সময়ে বাংলাদেশে বসবাস করেন, তারা ও ওই অর্থ দিয়ে এই ওয়েজ আর্নার বন্ড কিনতে পারবেন না।
৩) ওয়েজ আর্নার যিনি, তার মৃত্যুর পরে তার চাকুরির সুযোগ-সুবিধা বাবদ প্রাপ্ত অর্থ এই বন্ড কেনার জন্য গ্রহনযোগ্য নয়। এক কথায়, কোন ওয়েজ আর্নার প্রবাসে ছিলেন এবং বর্তমানে দেশে থাকছেন, তাঁদের কেউ বা তিনি এই বন্ডটি কেনার জন্য eligible নন।
৪) এর বাইরে বাংলাদেশী এয়ারলাইন্স বা শিপিং কোম্পানির দেশের বাইরের অফিসে কর্মরত ব্যক্তি যদি সেখান থেকে বিদেশি মুদ্রায় বেতন ও পান, তাও ওই অর্থ দিয়ে wage earner development bond ক্রয় করতে পারবেন না।
Source- Prothomalo.com
বিনিয়োগ ও পুনরায় বিনিয়োগ
পাঁচ বছর মেয়াদী ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড যে কোন সময় নগদায়ন করা সম্ভব। এবং মেয়াদপূর্তির পর নগাদায়ন না করলে এ বন্ড স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুনরায় বিনিয়োগযোগ্য।
স্বয়ংক্রিয় পুন:বিনিয়োগযোগ্য বলতে বোঝানো হয় বন্ডের মেয়াদ পূর্তির পর বন্ড মালিক যথাসময়ে বন্ড নগয়াদন না করলে বা না করতে পারলে বন্ডের মূল অর্থ পরবর্তী পাঁচ বছরের জন্য পুনরায় যেই পন্থায় বিনিয়োগকৃত হিসাবে বিবেচিত হয়। এবং বন্ড নগদায়ন না করা পর্যন্ত তা বারবার পুনরায় বিনিয়োগযোগ্য।
ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ড কেনার নিয়ম কি?
ওয়েজ আর্নার্ ডেভেলপমেন্ট বন্ড কেনার নিয়ম কি? বন্ড ইস্যু অফিসই এর প্রদানকারী অফিস (Paying Office) হিসাবে বিবেচিত। তবে বিদেশ থেকে ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড ক্রয়ের ক্ষেত্রে ক্রেতা ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড ফরম এ বাংলাদেশে প্রদানকারী অফিসের নাম উল্লেখ করে, উক্ত প্রদানকারী অফিসের মাধ্যমে বন্ড নগদায়ন, মুনাফা/সুদ উত্তোলন এবং পুনরায় বিনিয়োগ করেন।
সাধারণত, ওয়েজ আর্নার কর্তৃক বিদেশ হতে প্রেরিত এবং তার এফ.সি একাউন্টে জমাকৃত অর্থ দ্বারা বন্ডের ক্রয়মূল্য পরিশোধ করা যায়।
তবে চাইলে, বৈদেশিক মুদ্রার চেক, ড্রাফট বা প্রেরিত বৈদেশিক মুদ্রার বিপরীতে টাকা ড্রাফট-এর মাধ্যমে বন্ডের মূল্য পরিশোধ করার নিয়ম আছে। বাংলাদেশের তফসিলি ব্যাংকের এডি শাখাসমূহে এবং বাংলাদেশী কোন ব্যাংকের বিদেশে অবস্থিত শাখা অথবা তাদের আওতাধীন বিদেশে অবস্থিত এক্সচেঞ্জ কোম্পানীসমূহে বন্ড ক্রয়ের আবেদনপত্র, ডিবি-১ ফরম পূরণ ও স্বাক্ষর করে বন্ড ক্রয়ের আবেদন করার নিয়ম।
এবং বন্ডের আবেদনপত্র ডিবি-১ ফরম, বন্ডের ইস্যু অফিস সমূহে বিনামূল্যে পাওয়া যায়।
এখানে আরেকটি বিষয় রয়েছে। বিদেশে অবস্থিত ইস্যু অফিস থেকে ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ড নগদায়ন করা বা মুনাফা/সুদ উত্তোলন কিংবা পুনরায় বিনিয়োগের ব্যবস্থা নেয়া যায় না। তবে, বিদেশে বসবাসকারী কোন ব্যক্তি তার আবেদনপত্রে উল্লিখিত বাংলাদেশস্থ প্রদানকারী ব্যাংকে (Paying Office) প্রয়োজনীয় কাগজপত্র প্রেরণ করে উল্লেখিত কাজগুলো করার সুযোগ পাবেন এবং যেসব ক্ষেত্রে প্রযোজ্য সেসব ক্ষেত্রে প্রাপ্ত অর্থ বন্ড ধারকের আবেদন মোতাবেক এফ.সি একাউন্ট অথবা এফটিটি/এফডিডি এর মাধ্যমে বিদেশে ফেরৎ নেয়ারও সুযোগ পাবেন ।
ডলারে ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড কেনা সম্ভব নয় বরং শুধুমাত্র ওয়েজ আর্নার কর্তৃক প্রেরিত বৈদেশিক মুদ্রার সমমূল্য বাংলাদেশী টাকায় এই বন্ড ক্রয় করা যায় ।আর মুনাফা ও মূল অর্থও শুধুমাত্র টাকায় প্রদান করা হয়।
মেয়াদপূর্তির পর নগদায়ন করলে বন্ডের মূল অর্থ সমমূল্য বৈদেশিক মুদ্রায় রূপান্তর করে বিদেশে ফেরৎ নেয়া যায়। কিন্তু প্রাপ্ত মুনাফা বিদেশে নেয়ার নিয়ম নেই।
বিভিন্ন ড্রিপ ও মুনাফার হার
বর্তমানে ০৫ ধরণের ড্রিপে ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড এ বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে। যা যথাক্রমে, ২৫০০০/- ৫০,০০০/- ১,০০,০০০/- ২,০০,০০০/- ৫,০০,০০০/- ১০,০০,০০০/- এবং ৫০,০০,০০০/- টাকা মূল্যমানের। বর্তমানে ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড পাঁচ(৫) বছর মেয়াদ শেষে নগদায়ন করলে মুনাফার হার ১২.০০% (ষান্মাসিক চক্রবৃদ্ধি হারে)।
মেয়াদপূর্তির পূর্বে মুনাফা উত্তোলন না করে মেয়াদপূর্তির পর নগদায়ন করলে এ বন্ডে ছয় মাস পর পর চক্রবৃদ্ধি হারে মুনাফা আসে। তবে এখানে উল্লেখযোগ্য একটি বিষয় হল, ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড ক্রয়ের তারিখ হতে ৬ মাসের আগে নগদ করতে চাইলে কোন প্রকার মুনাফা প্রদান করা হয়না।
অন্যান্য মুনাফার হারেরও নির্দিষ্ট হিসাব আছে। ৬ মাস পর কিন্তু ১ বছরের পূর্বে মুনাফার হার = ৮.৭০% (৬ মাসের জন্য ), আবার ১ বছর পর কিন্তু ১/২বছরের পূর্বে মুনাফার হার = ৯.৪৫% (১ বছরের জন্য)। এবং ১ বছর পর কিন্তু ২ বছরের পূর্বে মুনাফার হার = ১০.২০% (১/২ বছরের জন্য)। আর ২ বছর পার হলে কিন্তু ৫ বছরের পূর্বে মুনাফার হার = ১১.২০% (৪%, বছরের জন্য) হয়। আর পুরো সময় মানে ৫ বছর পূর্তিতে মুনাফার হার = ১২% হয়।
ওয়েজ আর্নার্স ডেভেলপমেন্ট বন্ড এর অর্জিত মুনাফার উপর ৫% হারে উৎসকর কর্তন করা হয়। এবং এই হার ১ লা জুলাই, ২০১১ তারিখ হতে ক্রয়কৃত বন্ডের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে। এ বন্ডের মুনাফার অর্থ দ্বারা পুনরায় বন্ড ক্রয় করা যায় না ।
হস্তান্তরযোগ্যতা ও নমিনি। ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড এ মৃত্যুঝুঁকি সুবিধা
ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড শুধু তফসিলি ব্যাংক সমূহে জামানত রেখে ঋণ গ্রহণ করা যায়। এর বাইরে এই বন্ডের কোনভাবে হস্তান্তর করার সুযোগ নেই।
বন্ডের ক্রেতা নমিনী মনোনয়ন করতে পারেন। তবে প্রতিটি বন্ড স্ক্রিপের জন্য একজনের বেশি নমিনী নিয়োগ করা যায় না ।নমিনী মূলত বন্ড ক্রয়কারী কর্তৃক মনোনীত ব্যক্তি যে বন্ড ধারকের মৃত্যু হলে বন্ডের মূল অর্থ, মুনাফা ও মৃত্যু-ঝুঁকি সুবিধা প্রাপ্য হবে ।
মৃত্যু-ঝুঁকি সুবিধা পেতে বন্ড ধারকের মৃত্যুর তারিখ হতে ০৬ মাসের মধ্যে নমিনীকে বন্ডের ইস্যু অফিসে আবেদন করতে হবে।
ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড ধারকের মৃত্যুতে তার ক্রয়কৃত বন্ডের ক্রয়মূল্যের (Face Value) ৪০% হতে ৫০% পর্যন্ত অর্থ মৃত্যু-ঝুঁকি সুবিধা হিসেবে প্রাদন করা হয়। উল্লেখ্য, মৃত্যু-ঝুঁকি সুবিধার সর্বোচ্চ সীমা হ’ল ৫,০০,০০০/- (পাঁচ লক্ষ) টাকা ।
আর বন্ড ধারক ও নমিনী উভয়ের মৃত্যু হলে বন্ড ধারকের বৈধ উত্তরাধিকারী(গণ) বন্ডের মূল অর্থ মৃত্যু-ঝুঁকি সুবিধাসহ অন্যান্য সুবিধার অর্থ পাবে ।
মনোনীত নমিনীকে যে কোন সময় বন্ডের ইস্যু অফিসে আবেদন করে বাতিল/পরিবর্তন করা সম্ভব।
ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড এর সুবিধা
- ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড এর বিপরীতে ঋণ গ্রহণের সুবিধা আছে।
- ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ডে কোন ক্রয় সীমা নাই
- এই বিনিয়োগকৃত মূল অর্থ আয়কর মুক্ত।
- এ বন্ড হারিয়ে গেলে বা চুরি হলে ডুপ্লিকেট বন্ড ইস্যু করা হয়
- বন্ডধারক স্বাক্ষর করতে অপারগ হলে বা শারীরিকভাবে পঙ্গু হলে বন্ডের মুনাফা ও মূল অর্থ তার বাম হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলির ছাপ গেজেটেড অফিসার কর্তৃক প্রত্যায়ন করে এবং শারীরিকভাবে পঙ্গু হলে এর পক্ষে মেডিকেল সার্টিফিকেট প্রদান করে তোলা সম্ভব
ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড এ বিনিয়োগ কি লাভজনক ও নিরাপদ?
যদি আপনি এই আর্টিকেলটি বিশদ পড়ে থাকেন, এবং বর্তমান সময়ে ব্যাংকিং ও ফিনান্স সেক্টর এ প্রচলিত অন্যান্য বিনিয়োগ মাধ্যম গুলোর মুনাফার হার সম্পর্কে আইডিয়া থাকে তাহলে এটা বুঝতে অসুবিধা হওয়ার কথা নয় যে ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড এ বিনিয়োগে নিরাপদ এবং লাভজনক অবশ্যই।
আরও পড়ুন- পারিবারিক সঞ্চয়পত্র
বিনিয়োগের বৈশিষ্ট্যগুলো কি কি?
FAQ
নিম্নোক্ত বাংলাদেশী ব্যক্তিগন ওয়েজ আর্নার ডেভেলপমেন্ট বন্ড কিনতে পারবেন।
১। লিয়েনে বিদেশে কর্মরত সরকারী, আধা সরকারী, স্বায়ত্তশাসিত এবং আধা স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান এর কর্মকর্তা এবং কর্মচারী গন।
২। বিদেশে কর্মরত বাংলাদেশী দুতাবাসের সকল পর্যায়ের কর্মীগন যারা বিদেশি মুদ্রায় বেতন ভাতা পান।