আধুনিক ব্যবসা কি? আধুনিক ব্যবসার ৫ আইডিয়া
বিশ্বজুড়ে বছরের পর বছর ধরে মানুষ হাজারো রকম ব্যবসা করছে। তার কোনটি পণ্য নিয়ে আবার কোনোটি সেবা নিয়ে। যেমন যিনি চাল ডাল বিক্রি করেন তিনি করেন পণ্যের ব্যবসা আবার যিনি চুল কাটেন তিনিও ব্যবসা করেন, কিন্তু সেবা প্রদানের মাধ্যমে। ব্যবসার মধ্যে কিছু কিছু ব্যবসাকে আবার আমরা আধুনিক ব্যবসা নামে পরিচয় করিয়ে দিতে পারি।
মূলত আধুনিক জীবনের চাহিদার সাথে মিলিয়ে যে ব্যবসাগুলোর জন্ম, সেগুলোকে বলা চলে আধুনিক ব্যবসা। সময়ের সাথে মানুষের প্রয়োজনে এসকল ব্যবসায় উৎপত্তি। আধুনিক যুগে এসব ব্যবসার ক্রমশ বেড়ে চলা চাহিদা অস্বীকার করা যায় না৷ আজকে আমরা এরকম মোট পাঁচটি আধুনিক ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে কথা বলব।
অনলাইন কোর্স বিক্রি
একসময় যেকোনো কিছু শিখতে হলে কলমে বাট ট্রেনারের সামনে বসে শিখতে হতো। যেসব এলাকা খুব বেশি আধুনিক নয়, সেসব এলাকার ছেলেমেয়েরা প্রয়োজনীয় শিক্ষা সহ নানান রকম কোর্স করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হত। দিন বদলেছে, হাতের মুঠো এসেছে ইন্টারনেট। তাই এখন প্রদান এবং গ্রহণ দুই সহজ হয়েছে। একটি আধুনিক ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে আপনি অনলাইনে কোর্স করাতে পারেন। সে কোর্স করাতে পারেন আপনার নিজের গুণের সাথে মিল রেখে। রান্না সেলাই গ্রাফিক্স ডিজাইন কনটেন্ট রাইটিং এমনকি নাচ গানের করতো অনলাইনের মাধ্যমে এখন সম্ভব।
একটি কম্পিউটার এমনকি অনেকে তো সাধারণ একটি স্মার্টফোন হাতেও এখন নানারকম কোর্স করাচ্ছেন। মাসিক অথবা কোর্স ভিত্তিক সম্মানীর পরিবর্তে তারা এই কোর্সগুলো করান। প্রয়োজন অনুসারে ১ মাস, ৬ মাস, ১ বছর এরকম নানা ব্যাপ্তির কোর্স প্ল্যান হতে পারে। কোর্সকে আরো আকর্ষণীয় ও কার্যকর করার নানা আইডিয়া পেতে ইউটিউবে টিপস নির্ভর ভিডিও দেখতে পারেন। আজকাল অনেক শিক্ষানির্ভর ওয়েবসাইট কোর্স নেবার জন্য জনবল নিয়োগ দেয়। নিজের ব্যবসার পাশাপাশি এসব উদ্যোগের সাথেও থাকতে পারে।
আধুনিক যুগের সুবিধা গ্রহণ করুন, অনলাইনে কোর্স করানোর মাধ্যমে নিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠার পথে এগিয়ে যান। এবং ধীরে ধীরে ভালো অংকের টাকা আয় করতে শুরু করুন এরকম একটি আধুনিক ব্যবসার আইডিয়া এর মাধ্যমে।
জিম ফ্রেন্ডলি ফুড
সময়ের সাথে সাথে মানুষের মধ্যে জিম করার বিষয়টি অনেকটা ট্রেন্ডে পরিণত হয়েছে। তবে এটি একটি ভাল ট্রেন্ড। একসময় মানুষ শরীরচর্চার জন্য জিমে যাওয়া শুরু করল। তাও বেশ কয় বছর আগের কথা।কিন্তু ধীরে ধীরে মানুষ বুঝতে পারল জিম করাই সবকিছুর শেষ কথা নয়। যারা বডি বিল্ডিংয়ে আগ্রহী, তাদের জিমের পাশাপাশি সাধারণ খাবার সহ কিছু আলাদা খাবার গ্রহণের প্রয়োজন পড়ে। বিশেষ করে যারা মাসল বা ওয়েট গেইনের মত নির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে জিম করেন, তাদের ভেতর সাধারণ খাবারের পাশাপাশি কিছু বিশেষ খাবার গ্রহণ করার প্রবণতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। এই নির্দিষ্ট খাবার গুলোকে নিয়ে কিন্তু আধুনিক ব্যবসা শুরু করা সম্ভব। এটি চমৎকার একটি আধুনিক ব্যবসার আইডিয়া।
এই ধরনের পণ্যের মধ্যে রয়েছে খুবই পুষ্টিকর কিছু খাবার।
যেমন এনার্জি বার। এনার্জি বার তৈরি হয় নানান ধরনের বাদাম, খেজুর, সূর্যমুখীর বীজ, কুমড়ার বিচি ইত্যাদির সাহায্যে। আবার যেহেতু স্বাস্থ্য সচেতন মানুষ রেগুলার মিষ্টি জুস খাবার অভ্যাস ত্যাগ করেন, তাই অনেকেই ডিলুটেড জুস পান করেন। যা একদম তাজা ফলের, তাজা রস। আর যারা জিম করেন তাদের সকলেরই কমবেশি প্রোটিন শেইক প্রয়োজন হয়। এই ধরনের আরো কিছু জিম ফ্রেন্ডলি খাবারের লিস্ট করে, তা সব যদি একটি দোকান বা অনলাইন সাইট বা পেইজের মাধ্যমে বিক্রি করা হয়, তাহলে তা হতে পারে একটি আধুনিক ব্যবসার আইডিয়া।
ভয়েস ওভার স্টুডিও
বর্তমান যুগ সম্পূর্ণভাবে বিজ্ঞাপনের যুগ। টিভি বা রেডিওর পাশাপাশি বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও প্রচুর পরিমাণে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। আর এই সকল বিজ্ঞাপনের ভিডিওচিত্রের সাথে প্রয়োজন পরে ভয়েস ওভারের। আধুনিক যুগের এই চাহিদাকে মাথায় রেখে আপনি একটি ভয়েস ওভার স্টুডিওর ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এই ব্যবসাটি একটি দারুন আধুনিক ব্যবসার আইডদিয়া।
একটি ভয়েস ওভার ষ্টুডিওতে যন্ত্রের সেটআপ একবার করে ফেললে, তা থেকে বছরের পর বছর আয় করা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে যে সকল যন্ত্র আপনি স্টুডিওতে ইনস্টল করছেন তার মান যেন ভাল হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। সকল মার্কেটিং এজেন্সি বা কর্পোরেটের ব্রান্ডিং টিম কম বেশি সারাবছর ভয়েস ওভারের জন্য স্টুডিও খুঁজে। সাথে যদি ভয়েস আর্টিস্টের একটি লিস্ট করে, তাদের সেবাও ক্লায়েন্টের জন্য নিশ্চিত করতে পারেন তাহলে কিছু বাড়তি আয় করা সম্ভব।
উঠতি মডেলদের পোর্টফলিও তৈরি
উঠতি মডেলদের পোর্টফলিও তৈরি আধুনিক ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে অসাধারন একটি উদাহরন এবং এই ব্যবসাতে সফল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশী।
বর্তমান যুগ সম্পূর্ণভাবে বিজ্ঞাপনের যুগ। টিভি বা রেডিওর পাশাপাশি বর্তমান সময়ে সোশ্যাল মিডিয়াতেও প্রচুর পরিমাণে বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। আর এই সকল বিজ্ঞাপনের ভিডিওচিত্রের সাথে প্রয়োজন পরে ভয়েস ওভারের। আধুনিক যুগের এই চাহিদাকে মাথায় রেখে আপনি একটি ভয়েস ওভার স্টুডিওর ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
একটি ভয়েস ওভার ষ্টুডিওতে যন্ত্রের সেটআপ একবার করে ফেললে, তা থেকে বছরের পর বছর আয় করা সম্ভব। এ ক্ষেত্রে যে সকল যন্ত্র আপনি স্টুডিওতে ইনস্টল করছেন তার মান যেন ভাল হয় সেদিকে খেয়াল রাখবেন। সকল মার্কেটিং এজেন্সি বা কর্পোরেটের ব্রান্ডিং টিম কম বেশি সারাবছর ভয়েস ওভারের জন্য স্টুডিও খুঁজে। সাথে যদি ভয়েস আর্টিস্টের একটি লিস্ট করে, তাদের সেবাও ক্লায়েন্টের জন্য নিশ্চিত করতে পারেন তাহলে কিছু বাড়তি আয় করা সম্ভব।
ম্যাটার্নিটি ফ্রেন্ডলি পোশাক
এই ব্যবসাটি একটি যুগোপযোগী আধুনিক ব্যবসার আইডিয়া এবং চাহিদাসম্পন্ন একটি ব্যবসা।
আমাদের দেশে একজন নতুন মায়ের খাবার কিংবা অন্যান্য দিকে অনেক পরিবারই যথেষ্ট নজর দেয়। কিন্তু কিছু কিছু বিষয় আছে যেগুলো হয়তো বা সবাই ওতটা খেয়াল করে না।কিন্তু সেসব বিষয়ের উপর একজন নতুন মায়ের আরাম অনেকটাই নির্ভর করে।
যেহেতু নতুন মায়েদের কিছুক্ষণ পরপর সন্তানকে দুগ্ধ পান করাতে হয় আবার ঘরে নতুন সন্তান থাকলে বাড়িতে অতিথি আসতে থাকে, সেক্ষেত্রে সঠিক পোশাকটি নির্ধারণ করা তাদের জন্য খুবই কঠিন হয়ে যায়। বাচ্চাকে খাওয়ানোর সুবিধার্থে যে ধরনের পোশাক পরা হয়, সেগুলো পরে হয়তো বা বাইরের মানুষের সামনে নিজেকে যথেষ্ট প্রেজেন্টেবল মনে হয় না।
এধরনের সমস্যার সমাধানে ভালো কাপড় এবং নকশার আরামদায়ক পোশাক মায়েদের জন্য ডিজাইন করা যেতে পারে। এ সকল পোশাকের ডিজাইনের এমন কিছু বৈশিষ্ট্য থাকতে হবে যাতে মাতৃদুগ্ধ পান করানো জন্য সহজ হয়। একই সাথে কাপড়ের ফেব্রিক এবং ডিজাইন এমন হতে হবে, যেন তা পরে নতুন মা স্বাচ্ছন্দে অতিথিদের সামনে যেতে পারেন।
আরও পড়ুন- ইউনিক বিজনেস আইডিয়া