৩০ হাজার টাকায় ব্যবসা এর ৫টি লাভজনক এবং সম্ভাবনাময় আইডিয়া

৩০ হাজার টাকায় ব্যবসা

৩০ হাজার টাকায় ব্যবসা শুরু সম্ভব? যেখানে বর্তমান প্রতিযোগিতামূলক বাজারে লাখ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে ও রিটার্ন অব ইনভেস্টমেন্ট মিলাতে হিমশিম খেতে হয়! সেখানে মাত্র ৩০ হাজার টাকায় ব্যবসা শুরু করে কিভাবে লাভ করা সম্ভব? এই প্রশ্নটির উত্তর হচ্ছে, ৩০ হাজার টাকা বাজেটের মধ্যে শুরু করার মত বেশ কিছু ব্যবসা রয়েছে যেগুলোতে ভালো লাভ ও করা সম্ভব।

Advertisement

যে যাই বলুক না কেন, বাস্তবতা হল এই যুগে টিকে থাকতে হলে টাকার বিকল্প নেই। টাকা উপার্জনের পিছনে ছুটে চলার আগ্রহ কম বেশি সবার ই রয়েছে। তবে এটা ও বাস্তবতা যে টাকা আয় করার সঠিক পথ খুঁজে পাওয়া এবং সে পথে সফল হওয়ার রাস্তা চ্যালেঞ্জিং। অনেকেই হয়তো ব্যবসা শুরু করতে চান কিন্তু পুঁজি স্বল্পতার কারণে ব্যবসা শুরু করতে পারেন না। আবার অনেকে কোন ব্যবসাটি করলে লাভ করতে পারবেন সেটি নিয়ে দ্বিধায় ভুগেন!

যাদের বিনিয়োগ কম কিন্তু ব্যবসা করার ইচ্ছা ও পরিশ্রম করার মানসিকতা রয়েছে, এই লেখাটি তাদের কাজে লাগতে পারে। তাই এই আর্টিকেল এ মাত্র ৩০ হাজার টাকায় ব্যবসা শুরু করা যায়, এমন ৫ টি  লাভজনক ব্যবসা সম্পর্কে ধারনা দেয়া হল।

আসুন জেনে নেয়া যাক ৩০ হাজার টাকায় ব্যবসা আইডিয়া এর মধ্যে কোন কোন ব্যবসাগুলো লাভজনক ও সম্ভাবনাময় এবং কিভাবে সেটা শুরু করবেন। জেনে নিন, কিভাবে ঝুঁকিমুক্ত থেকে এই ধরনের ছোট ব্যবসা থেকে ভাল লাভ করতে পারবেন।

মাছের ব্যবসা

আমরা মাছে ভাতে বাঙালি। ছোট বড় সবাই মাছ খেতে পছন্দ করি। মাছ যেমন শরীর এর জন্য উপকারী তেমনি বেশ কিছু জাতের মাছ আছে যেগুলো স্বাদ ও মানে অতুলনীয়। ভোজনরসিক বাংগালী এর পাতে মাছ অন্যতম খাবার মেনু হিসেবে সবসময় ছিল, ভবিষ্যতে ও থাকার সম্ভাবনাই বেশী। তাই এই ব্যবসাটি ব্যবসায়ীদের নিকট সবসময় জনপ্রিয় ছিল এবং ভবিষ্যতে ও থাকবে, এটা বলা যায়।

৩০ হাজার টাকায় ব্যবসা এর আইডিয়া এর মধ্যে এটা অন্যতম। এর কারন হলো এই ব্যবসাতে রিটার্ন অব ইনভেস্টমেন্ট বেশ ভালো যদি সঠিকভাবে করা যায়। যদি আপনি বাজারে মাছের গদি ভাড়া নিয়ে অন্য কাউকে দিয়ে করান সেক্ষেত্রে আপনার বিনিয়োগ এবং রিটার্ন একরকম হবে। আর যদি বাজারে মাছের গদি ভাড়া নিয়ে নিজে করেন তাহলে আরওআই (রিটার্ন অব ইনভেস্টমেন্ট) বেশী হবে। কারণ এক্ষেত্রে লোক দিয়ে কাজ করানো বাবদ খরচ টা আপনার হবেনা।

বাজার এর অবস্থান ভেদে মাছের গদি ভাড়া এবং এডভান্স কম বেশী হবে । এই পদ্ধতিতে গেলে আপনি ৩০ হাজার টাকায় এই ব্যবসাটি করতে পারবেননা। আপনার বিনিয়োগ বেশী লাগবে। তাই মাছের ব্যবসার ক্ষেত্রে ৩০ হাজার টাকায় ব্যবসা শুরু করার সবচাইতে সহজ উপায় হল এটি অনলাইন ভিত্তিক শুরু করা।

মাছ সংরক্ষণের জন্য ডিপ ফ্রিজ, কুরিয়ারে বা বেশী পরিমানে ডেলিভারি এর জন্য ককশীট, চলতি মূলধন মিলিয়ে আপনি ৩০ হাজার টাকার মধ্যে বিনিয়োগ দিয়ে এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। সঠিক পরিকল্পনায় নতুন ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে এই ব্যবসাটি সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশী।

এবার আসা যাক মাছ সংগ্রহ করবেন কোথা থেকে। এটা আপনি স্থানীয় বড় বড় মাছের বাজার এ খবর নিলেই জানতে পারবেন। টাটকা বিভিন্ন জাতের দেশী মাছ এর জন্য আশেপাশের জেলে সম্প্রদায়ের সাথে যোগাযোগ রাখবেন। পাইকারি রেটে মাছ সংগ্রহ এর জন্য বড় মাছের আড়ত এর সাথে যোগাযোগ রাখবেন। যেকোনো সোর্স থেকেই কয় একবার মাছ সংগ্রহ করলেই একটা সম্পর্ক গড়ে উঠে যেটা আপনার এই ব্যবসাটি চালিয়ে নিতে সাহায্য করবে।

Advertisement

এবার লাভের কথায় আসি। মোটামুটি পাইকারী থেকে সরাসরি কাস্টমার লেভেল পর্যন্ত এই ব্যবসায় ৩০%-৩৫% এর কমবেশী গ্রস প্রফিট সম্ভব। খুচরা বিক্রেতা লেভেলে বিক্রি করলেও ২০% এর কমবেশী গ্রস প্রফিট করতে পারবেন। নীট প্রফিট নির্ভর করবে ব্যবসা পরিচালনায় আপনি কতটা খরচ করছেন তার উপর। যেহেতু এই ব্যবসাতে মোটামুটি নগদ টাকাতেই লেনদেন বেশী হয়, তাই সংরক্ষণ সঠিকভাবে করতে পারলে এর ঝুঁকি ও অনেক কম।

এটি বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা সমূহের একটি।

মাছের ব্যবসা

পোশাকের ব্যবসা

এটি একটি ছোট ব্যবসার আইডিয়া। যেহেতু ৩০ হাজার টাকায় ব্যবসা এর কথা বলা হচ্ছে, সেহেতু এটি এই বিনিয়োগ এ করতে গেলে আপনাকে অনলাইনেই শুরু করতে হবে। সোশাল মিডিয়া, নিজস্ব ওয়েবসাইট এবং অফলাইন মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনি এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন।

ব্যবসার ক্ষেত্রে হিসাব সোজা, কমে কিনেন বেশী দামে বিক্রি করেন। মাঝখানে যে লাভ করবেন তা থেকে পরিচালনা খরচ বাদ দিয়ে যা থাকবে সেটাই আপনার প্রকৃত লাভ। তো আপনি যেখান থেকেই কাপড়ের সোর্সিং করবেন, জেনে শুনে স্টাডি করে করবেন যাতে রেটটা ভালো পান।

যেহেতু অনলাইনে পোশাক বিক্রি করবে, তাই ধরে নিলাম আপনার মূল ফোকাস থাকবে থ্রি পিস, কুর্তা শাড়ী, টি শার্ট, জিন্স, রেডিমেড প্যান্ট এবং ইদের সিজনে পান্জাবী ইত্যাদি পোশাক এর উপর। এসব পোশাক কোয়ালিটি সম্পন্ন এবং ভালো দামে সংগ্রহ করা যায় এমন পাইকারি মার্কেট গুলোর আপডেট এবং পোশাক এর দামের আপডেট রাখতে হবে।

থ্রি পিস, টি শার্ট, জিন্স, রেডিমেড প্যান্ট এর ক্ষেত্রে পাইকারী দামের জন্য ঢাকার গুলিস্তান এবং পান্জাবী এর জন্য পুরান ঢাকায় কিছু মার্কেট, শাড়ী এর জন্য মিরপুর, থান কাপড়ের জন্য বাবুবাজার মোটামুটি পরিচিত এবং বিখ্যাত বলেই জানি। ব্যবসায় নামলে এগুলো খোঁজ নিয়ে প্রস্তুতি সহকারেই নামতে হবে।

অনলাইনে মার্কেটিং এ এখন মূল মাধ্যমই হচ্ছে ফেসবুক। আপনার নিজস্ব প্রতিস্ঠানের নাম ও লোগো ঠিক করে একজন পেশাদারের সাহায্যে ফেসবুক পেজ তৈরি করতে পারেন। একইসাথে কম খরচে একটা নিজস্ব ওয়েবসাইট, ইনস্টাগ্রাম মার্কেটিং সহ অন্যান্য সোশাল মিডিয়া ব্যবহার করতে পারেন। ফেসবুক বুস্টিং এর ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ কারো সহায়তা নিতে পারেন।

অফলাইনেও প্রচার চালাতে হবে একইসময়। আপনার পরিচিতজনদের মাঝে আপনার ব্যবসার কথা জানান দিন। ধীরে ধীরে আপনার ব্যবসা দাড়িয়ে যাবে। অনলাইন ভিত্তিক করতে চাইলে চলতি মুলধন সহ অন্যান্য খরচ মিলিয়ে ৩০ হাজার টাকায় ব্যবসা শুরু করতে পারবেন। একটা কথা অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে, পোশাক এর ব্যবসায় চলতি ফ্যাশন এবং ট্রেন্ড সম্পর্কে আপডেট থাকাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

রেডিমেড পোশাক এর ব্যবসা
রেডিমেড পোশাক এর ব্যবসা

টি স্টল (চায়ের দোকান) এর ব্যবসা

টি স্টল বা চায়ের দোকান এর ব্যবসা খুবই জনপ্রিয় এবং সহজ ব্যবসা। ৩০ হাজার টাকায় ব্যবসা আইডিয়া এর মধ্যে এটিও এমন একটি ব্যবসা যেটি ৩০ হাজার টাকা বিনিয়োগের মধ্যে করতে গেলে আপনাকে ফুটপাত অথবা এমন কোন স্থান বেছে নিতে হবে যেখানে লোকসমাগম হওয়ার সুযোগ আছে এবং কোন প্রকার এডভান্স দিতে হবেনা।

পোশাক বা মাছের ব্যবসা এর মত অনলাইনে অর্ডার নিয়ে ডেলিভারী দেয়ার মত পণ্য এটি নয়। ব্যস্ত ফুটপাত বা অন্য স্থান যেটিই নির্বাচন করেন না কেন, চায়ের সরন্জামাদি রাখার জন্য একটা কাস্টমাইজড ভ্যান লাগবে। সবকিছু মিলিয়ে ৩০ হাজার টাকা বিনিয়োগ এর মধ্যেই এই ব্যবসাটি শুরু করা যাকা এই ব্যবসায়ে স্বাদ এবং মান ভালো রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, তাহলেই আপনার ব্যবসা নতুন কাস্টমার ও পাবে এবং ভালো লাভ ও করতে পারবে। এই ব্যবসাতে মোটামুটি ৩০-৩৫% গ্রস প্রফিট করা সম্ভব।

রোডসাইড শপ হওয়ার কারণে স্থানীয় লোক এবং প্রশাসন থেকে কিছু ঝামেলার মুখোমুখি হতে পারে। সেক্ষেত্রে অন্যরা যেভাবে এটি সামলায় সেভাবেই সামলাবেন। কারন পথে নামলেই পথ চেনা যায়।

টি স্টল (চায়ের দোকান) এর ব্যবসা

খাবার এর ব্যবসা (অনলাইন এবং অফলাইন)

এখনকার সময়ে বিশেষ করে মহিলাদের জন্য ঘরে বসে ব্যবসা হিসেবে খুবই জনপ্রিয় ব্যবসা এটি। অনলাইন এ অর্ডার নিয়ে খাবার সরবরাহ করা যায় এবং কম পূঁজিতে ঘরোয়াভাবেই করা যায় বলে অনেকেই এই ব্যবসাটি করতে আগ্রহী হয়ে থাকেন।

৩০ হাজার টাকায় ব্যবসা আইডিয়া এর মধ্যে এটি প্রথম সারিতেই থাকবে। আপনি যদি রান্না ভালো করতে পারেন এবং এই কাজটি উপভোগ করেন, তাহলে অনলাইনে খাবার এর ব্যবসা শুরু করতে পারেন। সব আইটেম নিয়ে একসাথে শুরু না করে প্রথমদিকে ৩-৪ টা আইটেম দিয়ে শুরু করতে পারেন যেগুলো আপনি ভালো পারেন।

অল্প কিছু আইটেম দিয়ে শুরু করলে খাবারের স্বাদ ও মান দুটোই ভালো থাকবে এবং আপনি রিপিট কাস্টমার পাবেন যেটা এই ব্যবসার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখনকার সময়ে খাবার ডেলিভারি নিয়ে ও ভাবতে হবেনা কারণ এই সার্ভিস টা দিয়ে থাকে এরকম বেশ কিছু পেশাদার প্রতিষ্ঠান বাজারে রয়েছে।

অনলাইনে অর্ডার নেয়ার পাশাপাশি অফলাইন মার্কেটিং করে ক্যাটারিং সার্ভিস ও চালু করতে পারলে আপনার বিক্রি ও উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়ে যাবে। গুণগত মান ও স্বাদ ভালোা রেখেও অনলাইনে খাবার এর ব্যবসায় মোটামুটি ৩০-৩৫% গ্রস লাভ রাখা সম্ভব।

খাবার এর ব্যবসা (অনলাইন এবং অফলাইন)

সিজনাল ফল বিক্রির ব্যবসা

এখন মোটামুটি বছরে বারো মাসেই কোনো না কোনো ফল বাজারে থাকে। তাই ফলের এই ব্যবসাটি একসময় সিজনাল থাকলেও এখন আর তা নেই। কারণ কোন না কোন সিজনাল ফল বছরের বার মাসেই বাজারে থাকে। এই ব্যবসাটি শুরু করতে চাইলে মাছের মতই বাজারে ফলের গদি ভাড়া নিয়ে শুরু করতে পারেন যদি সবকিছু মিলিয়ে বিনিয়োগ আপনার সামর্থ্যের মধ্যে থাকে। তবে প্রতিদ্বন্দ্বিতার যুগে এটা কিছুটা অসম্ভব আর বিনিয়োগ কম হলে আপনি এটা অনলাইন ভিত্তিক করতে পারেন।

ঘরোয়া ভাবে করলেও ফল পচনশীল এটা মাথায় রেখে নরমাল ফ্রিজ (বাজেটের মধ্যে রাখার জন্য সেকেন্ড হ্যান্ড নিতে পারেন), ক্যারেট ( ডেলিভারি এর জন্য ফল রাখার বাক্স) সহ অন্যান্য আনুষাঙ্গিক জিনিসপত্র সহ চলতি মূলধন মিলিয়ে ৩০ হাজার টাকার মধ্যে এই ব্যবসা শুরু করতে পারবেন।

প্রথমদিকে স্টক কম রাখবেন, আপনার মাসিক বিক্রি এর একটা ধারণা পেয়ে গেলে তখন প্রয়োজনমত স্টক রাখতে পারবেন। ফলের ব্যবসায়ে অনেকে অতিরিক্ত স্টক রেখে পরে পচনের কারণে ক্ষতির মুখোমুখি হন।

ব্যবসাটি ধীরে ধীরে বড় করতে হলে পর্যাপ্ত প্রচার করতে হবে, সোশ্যাল মিডিয়া, পরিচিত সার্কেল, দরকার হলে লোকাল মিডিয়া তে বিজ্ঞাপন দিয়ে। এতে ধীরে ধীরে বিক্রি বাড়বে, ক্রেতাদের মধ্যে আস্থা তৈরি হবে, রিপিট কাস্টমার তৈরি হবে এবং পুরনো কাস্টমার এর মাধ্যমে নতুন কাস্টমার আসবে। এভাবেই ব্যবসাটি বড় হবে এবং লাভ ও বৃদ্ধি পাবে। এই ব্যবসাতে মোটামুটি ২৫%-৩০% গ্রস প্রফিট করা সম্ভব।

সিজনাল ফল বিক্রির ব্যবসা

৩০ হাজার টাকার মধ্যে আরো কিছু ছোট ব্যবসার আইডিয়া

৩০ হাজার টাকায় ব্যবসা আইডিয়া এর মধ্যে আরো কিছু সম্ভাবনাময় এবং কম টাকায় ব্যবসা রয়েছে যা আপনি বিবেচনায় রাখতে পারেন।

  • অনলাইনে মসলার ব্যবসা
  • হোমমেড ফ্রোজেন ফুড এর ব্যবসা
  • হোমমেড আচার এর ব্যবসা
  • বেবী কেয়ার (হোম বেসড)
  • গ্রাফিক্স ডিজাইন
  • হোমমেড মসলার ব্যবসা।
  • প্লাস্টিক আইটেম এর ব্যবসা।
  • সবজি এর পাইকারি ব্যবসা।
  • দুধ সাপ্লাই এর ব্যবসা।
  • ওয়েট মেশিন এর ব্যবসা।
  • জুসবার এর ব্যবসা।
  • ষ্টেশনারী আইটেম এর ব্যবসা।
  • স্যান্ডেল এর ব্যবসা।

আরও পড়ুন-

পাঁচ হাজার টাকায় ব্যবসা করার কিছু আইডিয়া।

১০ হাজার টাকায় ২৫ টি ব্যবসার আইডিয়া

২ লাখ টাকায় ব্যবসা

FAQ

৪০০০০ টাকা দিয়ে কি ধরনের ব্যবসা করা যায়?

ব্যবসা করার আগ্রহ ও পরিশ্রম করার মানসিকতা থাকলে সফল হওয়া যায়, বিনিয়োগ কম হলেও। ৪০০০০ টাকা দিয়ে করা যায় এমন ব্যবসা গুলোর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে মোবাইল এক্সেসরিজ এর ব্যবসা, ব্যবহৃত মোবাইল ফোন এর বেচাকেনার ব্যবসা, কমিশন ভিত্তিক সিম বিক্রির ব্যবসা, কমিশন ভিত্তিক পন্য বিক্রি, টি-শার্ট এর ব্যবসা, কাপড় বা পলি ব্যাগ এর ব্যবসা, খাবার হোটেল এ মুরগী সরবরাহের ব্যবসা ইত্যাদি।

কিভাবে অল্প পুঁজিতে ব্যবসা করা যায়?

অল্প পুঁজিতে ব্যবসা করতে হলে আপনাকে এমন ব্যবসা বেছে নিতে হবে যেটিতে বাকি দেয়া লাগবেনা এবং দৈনিক আয় হিসাব করা সম্ভব। অবশ্যই ব্যবসা থেকে লাভের কিছু অংশ সরিয়ে নিবেন এবং কিছু অংশ পুনরায় বিনিয়োগ করবেন। কিছু অংশ যে কোন সমস্যা মোকাবেলার জন্য রিজার্ভ হিসেবে রেখে দিবেন। এরকম সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে ব্যবসা করতে পারলে অল্প পুঁজিতে ব্যবসা করা শুধু সম্ভব না, ব্যবসা বড় করা ও সম্ভব।

২০ হাজার টাকা দিয়ে কি করা যায়?

২০ হাজার টাকা এবং ৩০ হাজার টাকা বিনিয়োগ প্রায় সমপরিমাণ বিনিয়োগ এ বলা চলে। মোটামুটি ৩০ হাজার টাকায় যেসব ব্যবসা শুরু করা যায় ২০ হাজার টাকায় ও সেই ব্যবসা গুলো আর একটু ছোট আকারে শুরু করা সম্ভব।

40000 হাজার টাকা দিয়ে ভারতে কোন ব্যবসা শুরু করা যায়?

ভারতের যেকোন ছোট ব্যবসা শুরু করার সবচাইতে বড় সুবিধা হলো এখানকার বিশাল ক্রেতাশ্রেণী। অল্প জায়গায় অনেক ক্রেতা পাওয়া যায় বলে এবং বড় মার্কেট সাইজের কারণে এখানে 40000 হাজার টাকা বিনিয়োগে রোড সাইড খাবারের দোকান অথবা ক্যাটারিং সার্ভিস শুরু করাটা লাভজনক হতে পারে।

Advertisement

Similar Posts

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।