দৈনিক আয়ের ব্যবসা এর চমৎকার ১০টি আইডিয়া
দৈনিক আয়ের ব্যবসা সম্পর্কে তাদের আগ্রহ বেশী যাদের দীর্ঘমেয়াদে আয় করার চেয়ে দৈনিক আয় সম্ভব এমন ব্যবসা করতে ইচ্ছুক। মুলত যাদের মূলধন কম, বিনিয়োগে করে দীর্ঘসময় ধরে ফেলে রাখতে পারেন না, তারাই দৈনিক ইনকাম করা যায় এমন ব্যবসা খুঁজে থাকেন।
এরকম ব্যবসা যারা খুঁজছেন, তাদের জন্যই আমাদের আজকের এই লেখাটি। এখানে ১০ টি ব্যবসা সম্পর্কে আলোচনা করা হল, যেগুলো থেকে প্রতিদিন আয় করা সম্ভব। এই ব্যবসাগুলো থেকে আপনি বাছাই করে নিতে পারেন আপনার জন্য সবচেয়ে সঠিক দৈনিক ইনকামের ব্যবসার আইডিয়া টি।
দৈনিক আয়ের ব্যবসা কি?
দৈনিক আয়ের ব্যবসা হচ্ছে সেই সব ব্যবসা যেগুলো থেকে প্রতিদিন কিছু না কিছু আয় করা যায়। এসব ব্যবসা মুলত নগদ লেনদেন নির্ভর এবং প্রতিদিনের প্রাপ্ত আয় ব্যবসা থেকে বের করে নেয়া যায়। এতে মূল মূলধনে তেমন কোন প্রভাব পড়েনা।
স্বল্প পুঁজির ব্যবসায়ী যাদের দীর্ঘমেয়াদে বিনিয়োগ করে রাখার মত অনেক টাকা নেই তাদের জন্য প্রতিদিন আয় করা যায় এমন ব্যবসা খুবই উপকারী। এতে অল্প মূলধনকে সঠিক ভাবে কাজে লাগিয়ে প্রতিদিন কিছু না কিছু ইনকাম করা সম্ভব।
এ ধরনের কিছু চমৎকার ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে আজকের এই লেখাটি।
কম্পিউটার রিপেয়ার সার্ভিস
অন্য কোনো স্কিল না হোক, অন্তত কম্পিউটারে আপনার হাত পাকা? যদি বুঝতে পারেন কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ও টুকটাক সফটওয়্যার এর ভাষা, তবে এই দৈনিক আয়ের ব্যবসা আপনার জন্য হতে পারে আশীর্বাদ।
প্রয়োজন-
- কম্পিউটার।
- মেকানিকাল যন্ত্রপাতি।
- ছোট একটি দোকান ভাড়া।
মনে রাখবেন, বর্তমান সময় প্রযুক্তিনির্ভর। কাজেই প্রতিদিনই পাবেন কোনো না কোনো কম্পিউটার সারানোর কাজ। যেখান থেকে প্রতিদিন টুকটাক আয় হতে থাকবেই।
কর্নফ্লেক্স ব্যবসা
বেশ ইউনিক একটা লাভজনক দৈনিক ইনকামের ব্যবসা হলো কর্নফ্লেক্সের ব্যবসা। স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করে বিক্রি করলে যেখান থেকে দিনে ২০০০-৩০০০ টাকা পর্যন্ত উপার্জন করা সম্ভব।
প্রয়োজন –
- বড় আয়তনের গুদাম
- ভুট্টার সাপ্লাই
- মেশিন
আমরা সবাই জানি, কর্নফ্লেক্স এর মূল উপাদান হচ্ছে ভুট্টা (৯০%), এর সাথে চিনি, লবন এবং অন্যান্য উপাদান মিলিয়ে তৈরি হয় কর্নফ্লেক্স। তাই কর্নফ্লেক্স উতপাদনের জন্য ভুট্টাখেতের আশেপাশের জায়গায়তেই একটি গুদাম নিতে হবে যাতে সহজেই ভুট্টার সাপ্লাই আসতে পারে। ব্যস, মেশিন দিয়ে কর্নফ্লেক্স তৈরি করে সেই কর্নফ্লেক্স বাজারে আপনি বেশ চড়া দামে পাইকারি বা খুচরা দোকানে বিক্রি করতে পারেন যা আপনাকে দৈনিক আয় এনে দিবে।
এভাবে এই ব্যবসায় লেগে থাকলে, একসময় টাকার অংক আরো বাড়বে। এই কাজে আপনি নিজে দক্ষ না হলে কর্নফ্লেক্স প্রোডাকশন এর কাজটি ভালো পারে এমন কাউকে হায়ার করতে পারেন।
সম্পর্কিত আর্টিকেল পড়ুন- স্টক ব্যবসার আইডিয়া।
কুরিয়ার সার্ভিস
আমরা প্রায় সকলেই কখনো না কখনো কুরিয়ার সার্ভিস এর সুবিধা নিয়েছি। কিন্তু জানেন কি এই কুরিয়ার সার্ভিসই আপনার জন্য একটি প্রতিদিন আয় করার মত একটি ব্যবসার আইডিয়া হতে পারে?
প্রয়োজন –
- সহজেই চোখে পড়ে এমন স্থান নির্ধারণ করা
- লাইসেন্স
- মার্কেটিং
- প্রয়োজনীয় কর্মী নিয়োগ
কোভিডের সময় আমরা দেখেছি, কুরিয়ার এর ব্যবসা কতটা লাভজনক হতে পারে। খুব বড় করে না হোক, অল্প মূলধনের নিজের এলাকার আশপাশ নিয়েই শুরু করুক আপনার এই কুরিয়ার সার্ভিস। আপনার নিজের ট্রান্সপোর্ট না থাকলে থার্ড পার্টি ট্রান্সপোর্ট এর সহায়তা নিতে পারেন। পরে পরিচিতি ও গ্রাহকের বিশ্বাস অর্জনের পর ধীরে ধীরে বিস্তৃত করতে পারবেন ব্যবসার পরিধি।
আইস্ক্রিম পার্লার
ক্রান্তীয় দেশ হিসেবে বাংলাদেশ বেশ দীর্ঘ গ্রীষ্মকাল পেয়ে থাকে। বছরের অধিকাংশ সময়ই তপ্ত রোদে প্রাণ যায় যায় অবস্থা। আর তাই ছেলেবুড়ো নির্বিশেষে সকলেই আইস্ক্রিম খেতে ভালোবাসে। তাই আইস্ক্রিম পার্লার হতে পারে খুবই ফ্যাশনেবল একটি প্রতিদিন আয় করার মত একটি ব্যবসা।
প্রয়োজন –
- আইসক্রিম তৈরির মেশিন
- কোল্ড স্টোন ফ্রিজার
- পাওয়ার ব্যাক আপ
- কাঁচামাল ও প্যাকেজিং
- বাসনপত্র
আইসক্রিম মেশিনের কাজ শিখে নিজে আইসক্রিম তৈরি করে শুরুর দিকে আয় করতে পারেন প্রতিদিন ২ থেকে ৩ হাজার টাকা। যেটা দিনে দিনে বাড়ার সম্ভাবনা প্রখর। একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্যপার মনে রাখবেন আপনার আইস্ক্রিম ব্যবসার জন্য পাওয়ার ব্যাক আপ খুবই জরুরি। নতুবা গলে গিয়ে মালামাল নষ্ট হওয়ার আশংকা আছে।
সম্পর্কিত পোস্ট- বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা।
লন্ড্রি সার্ভিস
বর্তমানে নিত্য প্রয়োজনীয় লন্ড্রির চাহিদা পূরণ করতে মানুষ বেছে নিচ্ছে এলাকার লন্ড্রির দোকান গুলো। লন্ড্রি একটা চলমান প্রক্রিয়া,অর্থাৎ প্রতিনিয়ত এর চাহিদা লেগেই থাকে। ঠিকমত গুছিয়ে শুরু করতে পারলে, লন্ড্রি সার্ভিস হতে পারে একটি চমৎকার দৈনিক আয়ের ব্যবসা।
প্রয়োজন –
- লন্ড্রি মেশিন
- দোকান
- ট্রেড লাইসেন্স
- ক্লিনিং কর্মী
- উন্নত কাস্টমার সার্ভিস
- প্রচারকার্য
লন্ড্রি এর অভিজ্ঞতা থাকলে নিজে নিজেই অথবা কয়েকজন দক্ষ লন্ড্রি কর্মী নিয়োগ দিতে পারেন। তবে, শুরুর দিকে বেশ বড় অংকের প্রফিট আশা করা যাবে না। এসব কাজে বেশি দাম রাখলে পর্যাপ্ত কাস্টমার আপনি পাবেন না। বরং খরচ এর তুলনায় মোটামুটি অংকের দাম রাখলে তুলনামূলক বেশি কাস্টমার পাবেন। প্রচারকাজের জন্য বেছে নিতে পারেন, ছাত্রাবাস, হোস্টেল ও অফিসের এলাকাগুলো।
কাস্টমাইজড গিফট শপ
কারণে অকারণে প্রিয়জনদের উপহার দেয়ার চল হয়ে আসছে বহু আগ থেকেই। উৎসব ছাড়াও সারাবছর কারো না কারো জন্মদিন থাকেই। তাই এটি প্রতিদিন আয় করার মত বেশ অনবদ্য একটি ব্যবসা।
প্রয়োজন-
- স্কুল/ কলেজের সামনে দোকান
- সকল প্রকার গিফট
- একজন কর্মচারী
- যন্ত্রপাতি
আপনার ক্রেতাদের অধিকাংশই হবেন শিক্ষার্থী তাদের কথা চিন্তা করেই স্থান নির্বাচন করবেন। ঘড়ি, পুতুল, চাবি, মগ, কাপ, গহনা ইত্যাদি মালামাল সংগ্রহ করতে পারেন, নিউমার্কেট, নূরজাহান, গাউসিয়া এসব জায়গা থেকে। কাস্টমাইজ করার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম রেখে ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী উপহারটিকে তৈরি করে দেয়াই আপনার কাজ। উদাহরণ : প্রিয়জনের ছবি প্রিন্ট করা মগ, ডায়রির পাতা অথবা ফটোফ্রেম।
কারণে অকারণে প্রিয়জনদের উপহার দেয়ার চল হয়ে আসছে বহু আগ থেকেই। উৎসব ছাড়াও সারাবছর কারো না কারো জন্মদিন থাকেই।
প্রয়োজন-
- স্কুল/ কলেজের সামনে দোকান
- সকল প্রকার গিফট
- একজন কর্মচারী
- যন্ত্রপাতি
আপনার ক্রেতাদের অধিকাংশই হবেন শিক্ষার্থী তাদের কথা চিন্তা করেই স্থান নির্বাচন করবেন। ঘড়ি, পুতুল, চাবি, মগ, কাপ, গহনা ইত্যাদি মালামাল সংগ্রহ করতে পারেন, নিউমার্কেট, নূরজাহান, গাউসিয়া এসব জায়গা থেকে। কাস্টমাইজ করার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম রেখে ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী উপহারটিকে তৈরি করে দেয়াই আপনার কাজ। উদাহরণ : প্রিয়জনের ছবি প্রিন্ট করা মগ, ডায়রির পাতা অথবা ফটোফ্রেম।
মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্ট
বর্তমানে প্রত্যেক ব্যক্তিরই দৈনন্দিন জীবনে বিকাশ/ রকেট/ নগদ/ উপায়, কোনো না কোনো সার্ভিসের প্রয়োজন পড়ছে। সেক্ষেত্রে দৈনিক আয়ের ব্যবসা হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিং রাখতে পারেন আপনার পছন্দের তালিকায়।
প্রয়োজন-
- আপনার অবশ্যই নিজের একটি ব্যবসা থাকতে হবে
- ট্রেড লাইসেন্স
- টিন সার্টিফিকেট ( করদাতার পরিচয়পত্র)
বর্তমানে বিকাশ, নগদ, রকেট, উপায় সবার এজেন্টরাই প্রতি হাজারে পাচ্ছেন ৪.১০ টাকা আবার ক্যাশ ইন করতে গ্রাহকদের কোন খরচ লাগেনা সত্যি কিন্তু এজেন্টরা ঠিকই আবার ৪.১০ টাকা কমিশন পান। এই ব্যবসাটিকে আপনি লস ছাড়া ব্যবসা ও বলতে পারেন। কারণ এটি নগদ টাকার ব্যবসা এবং এখানে যে পরিমাণ টাকা আপনি ব্যালেন্স হিসেবে রাখবেন সেটা এমনকি আপনি ব্যবসা গুটিয়ে ফেললেও সমপরিমাণ টাকা নগদে বিক্রি করে উঠিয়ে নিতে পারবেন।
লাঞ্চ প্রোভাইডার
দুপুরের খাবার একটি মৌলিক প্রয়োজন প্রতিদিনই যেটার প্রয়োজন পড়ে। স্বাস্থ্যকর সুস্বাদু দুপুরের খাবার সরবরাহ করে আপনি গড়ে তুলতে পারেন প্রতিদিন আয় করার মত একটি ব্যবসা।
প্রয়োজন –
- মেন্যু
- সুস্বাদু রান্নার আইটেম করতে পারে এমন কর্মী।
- টিফিনবক্স।
- ডেলিভারি কর্মী।
- ফেসবুক পেজ।
প্রথমত আপনাকে একটি পরিকল্পনা করতে হবে। বিভিন্ন ধরনের খাবার আইটেম রাখবেন। আপনার শেফনিয়োগ করবেন তাকেই, যে সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর উপায়ে বিভিন্ন স্বাদের রান্না করতে পারে। এরপর খাবার গুলো টিফিনবক্সে ভালোভাবে প্যাকেটজাত করে গ্রাহকের বাড়িতে পৌঁছে দেবেন।
দৈনিক, মাসিক এবং খুচরা বেলার খাবার সরবরাহ করাটা হবে সবচাইতে উত্তম সিদ্ধান্ত। একটা ফেসবুক পেজ খুলে বিভিন্ন গ্রুপে প্রচার শুরু করতে থাকলে কলেজ, ভার্সিটির শিক্ষার্থী এবং অফিস কর্মীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠবে আপনার সার্ভিস। প্রতিটি বক্স ৮০-১০০ টাকায় দাম রাখবেন। প্রথমদিকে যদি দিনে অন্তত ৩০-৪০ টি বক্স ও ডেলিভার করতে পারেন, তাহলে আপনার দৈনিক ১২০০-১৫০০ টাকা আয় থাকবে। আপনার গ্রাহক বাড়ার সাথে সাথে আপনার দৈনিক আয় ও বাড়বে।
সম্পর্কিত পোস্ট- ব্যবসার আইডিয়া।
ড্রেস রেন্টাল সার্ভিস
বর্তমানে এই আইডিয়াটি ইউরোপে খুবই জনপ্রিয়তা পেয়েছে। বাংলাদেশে যেটার খুবই ভালো সুযোগ আছে। এখন ছবির যুগ, একটা পোশাকে একবার ছবি তোলা হয়ে গেলেই, সেই পোশাকটির উপর আর তেমন আগ্রহ কাজ করে না। যদি শপিং করা আপনার শখ হয়ে থাকে তাহলে, সেই কেনা পোশাক কাউকে একদিনের জন্য ভাড়া দিয়ে উপার্জন করার উপায়টা হয়ে উঠতে পারে চমৎকার দৈনিক আয়ের ব্যবসা। এটি একটি ইউনিক বিজনেস আইডিয়া ও বটে।
প্রয়োজন-
- মানসম্মত পোশাক এর কালেকশন।
- ওয়েবসাইট/ ফেসবুক পেজ।
- ড্রাই ক্লিনিং।
পোশাক কালেকশন করার সময় সৌন্দর্যের পাশাপাশি ড্রেসের কোয়ালিটি রাখার চেষ্টা করবেন। শুরুর দিকে পোশাকের মডেল হতে পারেন আপনি নিজেই। তারপর নিজের পেজ অথবা ওয়েবসাইট খুলে প্রচারণা শুরু করুন। দাম রাখতে পারেন কেনা দামের অর্ধেক অর্থাৎ ৫০ শতাংশ দামে। ক্ষেত্রবিশেষে ৬০ শতাংশ দামও রাখতে পারেন যদি সহজে পাওয়া যায়না এমন কোয়ালিটির ড্রেস হয়।
সম্পর্কিত পোস্ট- নতুন ব্যবসার আইডিয়া।
পিঠাঘর
যুগযুগ ধরে দেশীয় ঐতিহ্যের সাথে জড়িয়ে আছে দেশের রকমারি পিঠা। সারাবছর ধরেই সেসব পিঠার চাহিদা থেকে যায়।
প্রয়োজন-
- রকমারী পিঠার রেসিপি
- পরিষ্কার পরিচ্ছন রান্নাঘর
- পিঠাঘরের জন্য একটি দোকান ভাড়া
- প্রয়োজনীর কর্মচারি
যদি আপনার রান্নার হাত ভালো হয় তাহলে তো সোনায় সোহাগা। অথবা ভালো ক’জন কারিগর রাখতে পারেন যারা হরেক রকম পিঠার রেসিপি জানেন। ব্যাস! নগরীতে এই পিঠাঘর হতে পারে আপনার দৈনিক আয় করার মত একটি ব্যবসা। প্রতিদিন ৫০০ টাকার পিঠা বানিয়ে আপনি উপার্জন করতে পারেন ৭০০/৮০০। উৎসবপার্বণ সাপেক্ষে সেটা ১০০০ এর বেশিও ছুতে পারে কখনো।
আরও পড়ুন- ৩ লাখ টাকার ব্যবসা।
দৈনিক আয়ের ব্যবসা- আরও কিছু আইডিয়া
দৈনিক আয় করা যায় এমন আরও কিছু ব্যবসার আইডিয়া নিম্নে দেয়া হল, আশা করি আপনাদের কাজে লাগবে।
- কাঁচামালের ব্যবসা।
- গ্রোসারি শপ।
- ফার্মেসি।
- ফুচকার ব্যবসা।
- ভেলপুরির ব্যবসা।
- জুসবার।
- ফলের ব্যবসা।
- টি স্টল।
- রেস্টুরেন্ট।
- ফাস্টফুড শপ।
কিভাবে দৈনিক আয়ের ব্যবসাতে সফল হওয়া যায়?
প্রতিদিন আয় করা যায় এমন ব্যবসা গুলোতে যেহেতু প্রতিদিন ইনকাম করার চ্যালেঞ্জ থাকে তাই এতে শ্রম ও বেশী দিতে হয়। এ ধরনের ব্যবসাতে সফল হওয়ার জন্য আপনার নিম্নোক্ত বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে।
- সঠিক পরিকল্পনা।
- জনসমাগম হয় এমন স্থানে দোকান দেয়া।
- দোকান ছাড়া অন্য ব্যবসা হলে সেলস নেটওয়ার্ক বাড়াতে হবে যাতে প্রতিদিন ধারাবাহিক বিক্রয় থাকে।
- মূলধন ও নিট আয় প্রতিদিন হিসাব করে আলাদা করে ফেলতে হবে।
- মূলধন থেকে জরুরী প্রয়োজন ব্যতিত কোন টাকা উত্তোলন না করা। যদি করেও থাকেন সেটা পরে পূরন করে দিতে হবে।
- আপনার পন্য বা সেবা নগদে বিক্রয় করতে হবে।
- আপনার অভিজ্ঞতা আছে বা আপনি করতে পারবেন এমন ব্যবসা নির্বাচন করা।
আরও পড়ুন- ক্ষুদ্র ব্যবসা।
FAQ
দুই লাখ টাকা দিয়ে নিচের ব্যবসাগুলো করা যায়।
১। বেকারির ব্যবসা।
২। গাড়ির যন্ত্রাংশের ব্যবসা।
৩। কসমেটিকস এর ব্যবসা।
৪। চাউলের পাইকারি ব্যবসা।
৫। কনজিউমার পরিবেশক এর ব্যবসা।
ব্যবসাতে লাভ লস আছে বলেই ব্যবসা হালাল। লস এর সম্ভাবনা নেই এমন ব্যবসা নেই। তবে লস এর সম্ভাবনা অনেক কম এমন কিছু ব্যবসা নিম্নে দেয়া হল।
১। ফার্মেসি এর ব্যবসা।
২। পান-বিরি-সিগারেট এর দোকান।
৩। ফুটপাথে কাপড়ের ব্যবসা।
৪। মাংসের ব্যবসা।
৫। সেলুন।
৬। চা এর দোকান।
৭। সেবামুলক যে কোন ব্যবসা।
৮। মোবাইল রিচারজ/মোবাইল ব্যাংকিং এর ব্যবসা।
আপনার বিনিয়োগ করার মত বাজেট যদি ৫০০০ টাকা বা এর কম বেশী হয়, তাহলে আপনি একটি ভেলপুরি এর স্টল দিতে পারেন। স্কুল কলেজ এর ছাত্র ছাত্রী এবং মহিলাদের খুব পছন্দের একটা খাবার হচ্ছে ভেলপুরি। দোকান ভাড়া না নিয়ে জনাকীর্ণ রাস্তার পাশে একটা ভেলপুরি এর দোকান দিতে পারলে আপনার প্রতিদিন ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা আয় হতে পারে।