উৎপাদনমুখী ব্যবসার আইডিয়া, ১০টি লাভজনক ব্যবসা

উৎপাদনমুখী ব্যবসার আইডিয়া

উৎপাদনমুখী ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে কাজ করে ভালো ফলাফল পেতে আপনার বিনিয়োগ সক্ষমতা থাকতে হবে। কম পুঁজিতে ও উৎপাদনমুখী ব্যবসা করা যায়। কিন্তু এতে সফল হওয়ার সম্ভাবনা কম । উৎপাদনমুখী ব্যবসা ৫০০০ টাকায় ও শুরু করতে পারেন, যেমন মোমবাতি, কাপড় কাচার ইত্যাদি, কিন্তু সেটা সফলভাবে চালিয়ে নেয়া খুবই চ্যালেঞ্জিং একটা কাজ।

কারন একটি উৎপাদনমুখী ব্যবসায়ে উৎপাদনটাই একমাত্র কাজ না, সেটাকে কাস্টমার এর হাতে পোঁছানো এবং বিক্রয় পরবর্তী সেবা নিশ্চিত করা পর্যন্ত বেশ কিছু ধাপে বিনিয়োগ এর ব্যাপার রয়েছে। তাই উৎপাদনমুখী ব্যবসায়ে আপনার আগ্রহ থাকলে আগে পর্যাপ্ত বিনিয়োগ নিশ্চিত করে তারপর কাজে নামাটাই উত্তম।

উৎপাদনমুখী ব্যবসার আইডিয়া কি?

উৎপাদনমুখী ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে জানার আগে উৎপাদনমুখী ব্যবসা কি তা জানতে হবে। উৎপাদনমুখী ব্যবসা বলতে পণ্য উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং পরবর্তীতে উৎপাদনকৃত পণ্যের বিক্রয় পর্যন্ত সকল কার্যক্রমকে বুঝানো হয়। নিজেকে সফল উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তুলতে উৎপাদনমুখী ব্যবসা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

সমসাময়িক ব্যবসার আইডিয়া গুলোর মধ্যে অন্যতম হলো উৎপাদনমুখী ব্যবসার আইডিয়া।  এই আর্টিকেল এ বর্তমান সময়ের লাভজনক ১০ টি  উৎপাদনমুখী ব্যবসা সম্পর্কে আলোচনা করা হবে।

জৈব সার তৈরির ব্যবসা

বাংলাদেশ একটি কৃষিপ্রধান দেশ। আমাদের দেশের ৫০ শতাংশের ও বেশী মানুষ কৃষির সাথে জড়িত। আধুনিক কৃষিতে রাসায়নিক সারের পাশাপাশি জৈব সার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। আপনার কাছে মোটামুটি মূলধন থাকলে একটি জৈব সার তৈরীর ব্যবসা শুরু করতে পারেন। মোটামুটি ভালো মানের একটি জৈব সার এর প্লান্ট বসাতে আপনার আনুমানিক ৭০০০০ থেকে ৮০০০০ টাকা মূলধন লাগতে পারে।

কম পুঁজিতে উৎপাদনমুখী ব্যবসা করতে চাইলে আপনি নিজের বাড়িতে বসে গোবর, খরকুটো এবং আনুষঙ্গিক জৈব উপকরন দিয়ে বিভিন্ন ধরনের জৈব সার তৈরি করে স্থানীয় কৃষকদের কাছে বিক্রি করতে পারেন। এই ব্যবসায়ে ভালো করার জন্য আপনি স্থানীয় কৃষি বিভাগ বা যুব উন্নয়ন কেন্দ্র এর সহায়তায় জৈব সার উৎপাদন এর প্রাকটিকাল ট্রেনিং নিতে পারেন।

সম্পর্কিত পোস্ট- ১ লাখ টাকায় ব্যবসা

মৎস্য উৎপাদন ব্যবসা

বর্তমানে লাভজনক উৎপাদনমুখী ব্যবসার আইডিয়া গুলোর মধ্যে মাছ উৎপাদন ব্যবসা অন্যতম। মাছের চাহিদা দেশ ছাড়িয়ে বিদেশে পৌঁছে গিয়েছে এবং এই চাহিদা দিন দিন বেড়ে চলেছে। গ্রামে বসবাস করা উদ্যোক্তাদের জন্য এই ব্যবসাটি অনেক সহজ, এছাড়াও গ্রামের পুকুরে কম ইনভেস্ট করে একটি মৎস্য উৎপাদন ব্যবসা গড়ে তুলতে পারবেন। মাছের উৎপাদন ব্যবসা অন্যতম লাভজনক একটি ব্যবসা।

বর্তমান সময়ে শহরে ও অনেকেই মাছের উৎপাদন ব্যবসা করছেন। তবে শহরে যেহেতু পুকুর বা জলাশয়ের স্বল্পতা রয়েছে তাই শহরে অধিকাংশ ক্ষেত্রে বায়োফ্লক পদ্ধতিতে মৎস্য উৎপাদন করা হয়। তবে এক্ষেত্রে বেশি টাকা বিনিয়োগ (invest) করা লাগে।

এই ব্যবসায়ে বিনিয়োগ ও ঝুঁকির তুলনায় লাভের পরিমাণ অনেক বেশী বলে বর্তমান সময়ে অনেকেই উৎপাদনমুখী ব্যবসা হিসেবে মৎস্য উৎপাদনকে বেছে নিচ্ছেন। যদি গ্রামের মাঝারি সাইজের পুকুরে আপনি মাছ চাষ করেন, তাহলে পুকুর লিজ নেয়া, মাছের পোনা ক্রয়, মাছের খাবার, পুকুরকে মাছ চাষের উপযোগী করে তোলা এবং এর দেখভাল এর জন্য কেয়ারটেকার এর বেতন সহ আনুষঙ্গিক খরচ মিলিয়ে এই ব্যবসায়ে আপনার ২ লাখ টাকার মত বিনিয়োগ লাগতে পারে। অন্যদিকে বায়োফ্লেক পদ্ধতিতে মৎস্য উৎপাদন এর ক্ষেত্রে এক একটি ১২০-১৫০ স্কয়ার ফিট এর মত জায়গায় আপনার ১.৫ থেকে ২ লাখ এর মত বিনিয়োগ লাগতে পারে।

সম্পর্কিত পোস্ট- বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা

দুধ উৎপাদন ব্যবসা

দুধের চাহিদা কম বেশি সারা বছর থাকে। উৎপাদনমুখী ব্যবসা গুলোর মধ্যে আরেকটি অন্যতম লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া হল দুধ উৎপাদন। আমাদের দেশে দুধ উৎপাদনের জন্য অনেকেই ঘরোয়া ভাবে গরু, ছাগল, ভেড়া ও মহিষ পালন করে থাকেন।

তবে বানিজ্যিক ভাবে উৎপাদন এর জন্য খামার আকারে সঠিক পরিকল্পনা নিয়ে শুরু করলে এই ব্যবসায়ে খুব দ্রুত অধিক লাভ করা যায়। অনেকেই বানিজ্যিক ভাবে দুধ উৎপাদন করে সফল হয়েছেন। বানিজ্যিক ভাবে বাজারজাত করতে চাইলে টার্গেট কাস্টমার, প্রতিদ্বন্দ্বী ব্র্যান্ড, রিটেইলিং প্লান, মার্কেটিং প্লান এনালাইসিস করে ব্যবসায়ে নামলে এই ব্যবসায়ে সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেশী।

তবে যদি আপনার বাজেট একদম ই কম থাকে, ১০০০০ হাজার থেকে ২০০০০ এর মধ্যে, তাহলে আপনি ১/২ টি বাছুর বা কয়েকটি ছোট ছাগলের বাচ্চা কিনে এগুলো লালন পালন করে বড় করে দুধ উৎপাদন করতে পারেন। পরে ধীরে ধীরে আপনার ব্যবসাটি বড় করতে পারেন। তবে বাস্তবিক অর্থে এই পরিমাণ কম বিনিয়োগে বানিজ্যিক ভাবে দুধ উৎপাদন করে লাভবান হওয়া সম্ভব নয়।

পোশাক তৈরির ব্যবসা

আপনার বিনিয়োগের সক্ষমতা অনুযায়ী আপনি পোশাক তৈরির ব্যবসা করতে পারেন। আপনার যদি যথেষ্ট পুঁজি থাকে তাহলে রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানার ব্যবসা শুরু করতে পারেন। আপনার পুঁজি এবং সক্ষমতার কমতি থাকলে দেশের বাজারকে টার্গেট করে পোশাক তৈরি করতে পারেন। ছোট আকারে কারখানা স্থাপন করে নির্দিষ্ট শ্রেণীর পোশাককে টার্গেট করে আপনার এই উৎপাদনমুখী ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। উৎপাদনমুখী ব্যবসার আইডিয়া এর মধ্যে এটি অন্যতম একটি ব্যবসা।

পোশাক তৈরির ক্ষেত্রে আপনি বিশেষ ক্যাটাগরি নির্বাচন করতে পারেন। যেমন : মেয়েদের পোশাক, ছেলেদের পোশাক, বড়দের পোশাক, ছোটদের পোশাক, অন্তর্বাস আইটেম, শীতকালীন পোশাক ইত্যাদি । এই ব্যবসাটি আপনি ৩-৪ লাখ টাকা বিনিয়োগ এ একদম ছোট আকারেও শুরু করতে পারেন। লাভজনক ব্যবসা বিবেচনায় এই উৎপাদনমূখী ব্যবসাতে ৩০% এর কমবেশি নীট প্রফিট করা সম্ভব।

চামড়াজাত পণ্য তৈরির ব্যবসা

আমরা সবাই জানি বাজারে চামড়াজাত পণ্যের যথেষ্ট চাহিদা আছে এবং এই ধরণের পণ্যের দামও ভালো পাওয়া যায়। তবে এসব পণ্যের দাম বেশি থাকলেও প্রধান কাঁচামাল গবাদিপশুর চামড়ার মূল্য একেবারে কম। ফলে এই ব্যবসায়ে অধিক লাভ করার একটা সুযোগ রয়েছে। এই সম্ভাবনাকে কাজে লাগিয়ে উৎপাদনমুখী ব্যবসা হিসেবে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।

চামড়া দিয়ে বিভিন্ন ধরণের পণ্য তৈরি করা যায়, যেমন জুতা, বেল্ট, ব্যাগ, জ্যাকেট, মানিব্যাগ ইত্যাদি। এই ব্যবসাটি চাইলে আপনি বিশাল বিনিয়োগ নিয়ে বড় আকারে ও শুরু করতে পারেন। আবার শুধু নির্দিষ্ট ১/২ টা চামড়াজাত পন্যকে টার্গেট করে ছোট আকারের কারখানা দিয়ে ও শুরু করতে পারেন।

যদি ব্যবসায়ের শুরুর দিকে আপনি বাজারমুল্যের চাইতে কমে ভালো কোয়ালিটির পন্য বাজারে সরবরাহ করতে পারেন, তাহলে এই ব্যবসায়ে আপনার সাফল্য নিশ্চিত।

গাড়ির যন্ত্রাংশ উৎপাদন এর ব্যবসা

গাড়ির ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে সেই সঙ্গে বাড়ছে গাড়ির সংশ্লিষ্ট আধুনিক ডিভাইস  ও যন্ত্রাংশের চাহিদা।   আমাদের দেশে বেশিরভাগ গাড়িই রিকন্ডিশন যার কারণে এসব গাড়ি সচল রাখার জন্য নির্দিষ্ট মেয়াদ বা সময় পর পর কিছু মেরামত করতে হয়। শুধু রিকন্ডিশন গাড়িতেই নয়, নতুন গাড়িরও যেকোন সময় সার্ভিসিং এর প্রয়োজন হতে পারে।

উৎপাদনমুখী ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে  গাড়ির যন্ত্রাংশ উৎপাদন এর ব্যবসা বাজারের ক্রমবর্ধমান চাহিদা বিবেচনায় লাভজনক ও জনপ্রিয় ব্যবসা হতে পারে। তবে এই ব্যবসাটি করতে যথেষ্ট পরিমানে বিনিয়োগ সক্ষমতা থাকা দরকার।

কাঠের জিনিসপত্র তৈরির ব্যবসা

আমাদের দেশে কাঠের তৈরি জিনিসপত্র গুলোর যথেষ্ট চাহিদা রয়েছে। আমরা বিভিন্ন কাজে কাঠের জিনিসপত্র ব্যবহার করি। যেমন: ঘর সাজানোর কাজে, ঘরের আসবাবপত্র তৈরির কাজে, অফিস আসবাবপত্র তৈরির কাজে, শোপিস আইটেম কাজে কাঠ ব্যবহার করা হয়। তবে এই ব্যবসাটি শুরু করতে আপনারে নিজের কাঠের জিনিসপত্র তৈরি সম্পর্কে ধারনা থাকা দরকার। এই ব্যবসাটি সম্পর্কে জ্ঞান থাকলে উৎপাদনমুখী ব্যবসা হিসেবে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পা্রেন।

আপনার কাছে পর্যাপ্ত মূলধন থাকলে একজন কাঠমিস্ত্রির সাথে চুক্তি করে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। পর্যাপ্ত মূলধন নির্ভর করে আপনি ব্যবসাটি কিভাবে শুরু করতে চান। যদি আপনি অটবি, হাতিল এর মত নিজস্ব উৎপাদিত পন্য চেইন শোরুম দিয়ে বিক্রি করতে চান তাহলে আপনার ৫ কোটি এর কমবেশী বিনিয়োগ লাগতে পারে। যদি অর্ডার সাপেক্ষে নিজস্ব কারখানা থেকে পন্য বানিয়ে সরবরাহ করেন, তাহলে ১০ লাখ এর কমবেশি বিনিয়োগ হলেই যথেষ্ট।

কার্পেট ও পাপোশ তৈরির ব্যবসা

অফিস-আদালত ও বাড়ি-ঘরে রাবারের কার্পেট বা পাপোশের বেশ চাহিদা রয়েছে। ভালো মানের ও আধুনিক ডিজাইনের কার্পেট বা পাপোশ তৈরি করতে পারলে আপনি একজন সফল উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে পরিচিত করাতে পারবেন।

যদি ছোট আকারে এই উৎপাদনমুখী ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে কাজ শুরু করতে চান, তবে এই ব্যবসাটি শুরু করার জন্য আপনাকে এই বিষয়ের উপরে ট্রেনিং গ্রহণ করতে হবে এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বা মেশিন ক্রয় করতে হবে। সাধারণভাবে একটি কার্পেট ও পাপোশ তৈরির ব্যবসা শুরু করতে কমপক্ষে ১,০০,০০০ থেকে ২,৫০,০০০ টাকা ইনভেস্ট করতে হয়। এদেশে এসমস্ত পন্যের বাজার কিছুটা অগোছালো, ভালো কোন ব্র্যান্ড নেই বিধায় একটু পরিকল্পনা করে নামলে এই ব্যবসায়ে দ্রুত সফল হতে পারবেন।

কাঁচামাল উৎপাদন ব্যবসা

বর্তমান সময়ের লাভজনক এবং চাহিদাসম্পন্ন একটি উৎপাদনমুখী ব্যবসা হচ্ছে  কাঁচামাল উৎপাদন। কাঁচামাল বলতে বুঝানো হয় এখানে নিত্য প্রয়োজনীয় কাঁচাবাজারকে বুঝানো হচ্ছে যেমন: আলু, সবজি, মুলা, গাজর, টমেটো, শসা, পিয়াজ, রসুন ইত্যাদি।

অল্প বিনিয়োগে প্রথমে ছোট পরিসরে কাঁচামাল উৎপাদন ব্যবসা শুরু করতে পারেন। সামান্য টাকা ইনভেস্ট করে নিজেদের পরিত্যক্ত জমিতে ছোট একটি কাঁচামাল উৎপাদনের জমি প্রস্তুত করতে পারেন। এই ব্যবসা করার জন্য আপনাকে সবজি জাতীয় খাবার আইটেমের চাষ বা উৎপাদন প্রক্রিয়া সম্পর্কে বিশদ জানতে হবে। স্থানীয় কৃষি বিভাগ থেকে আপনি এই ব্যাপারে সহায়তা পেতে পারেন।

বাচ্চাদের খেলনা তৈরির ব্যবসা

বাচ্চাদের খেলনা তৈরির ব্যবসা আমাদের উৎপাদনমুখী ব্যবসার আইডিয়া এর তালিকায় সবার শেষে আনলেও সম্ভাব্যতা ও লাভ বিবেচনায় এটি প্রথম সারিতেই থাকবে।

খেলনা বাচ্চাদের খুব পছন্দের একটি পণ্য এবং এদেশে খেলনা আইটেমের বিশাল বাজার রয়েছে। তবে আমাদের জন্য দুঃখজনক বিষয় হলো, এদেশের খেলনা আইটেমের বাজার অনেকটাই অগোছালো এবং ভালমানের খেলনা আইটেম অধিকাংশই এখনো বিদেশ থেকে  আমদানি করা হয়।  অথচ আপনি চাইলে মাত্র কয়েক লক্ষ টাকা পুঁজি নিয়ে শুরু করে দিতে পারেন খেলনা তৈরির ব্যবসা।

যেহেতু এটি উৎপাদনমুখী ব্যবসা তাই শুরু করার পূর্বে আপনার নিজের এ বিষয়ে কিছুটা জ্ঞান অর্জন করে নিতে হবে।  সেক্ষেত্রে আপনি বাজারের চাহিদাসম্পন্ন খেলনা আইটেম সরবরাহ করতে পারবেন। অন্যদের চাইতে কম দামে ভালো মানের পন্য মার্কেট এ দিতে পারবেন যা আপনাকে দ্রুত সফলতা এনে দিবে।

উৎপাদনমুখী ব্যবসার আরও কিছু আইডিয়া

উৎপাদনমুখী ব্যবসার আর ও কিছু আইডিয়া রয়েছে যেগুলো সঠিক পরিকল্পনা ও প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ নিয়ে শুরু করলে ভালো কিছু করা সম্ভব।

  1. মোমবাতি তৈরির ব্যবসা।
  2. কাপড় কাচার সাবান তৈরির ব্যবসা।
  3. ক্রিকেট ব্যাট ও বল তৈরির ব্যবসা।
  4. রাবার এর স্যান্ডেল তৈরির ব্যবসা।
  5. এলইডি বাল্ব তৈরির ব্যবসা।
  6. চা উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরন
উৎপাদনমুখী ব্যবসার আইডিয়া

উৎপাদনমুখী ব্যবসায় সফল হতে কি করনীয়?

যেকোন ব্যবসার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে  মুনাফা অর্জন করা । সুতরাং ব্যবসা শুরু করার আগেই বুঝতে হবে আপনি যে ব্যবসাটি করতে চাচ্ছেন তার গ্রহণযোগ্যতা কতটুকু, মার্কেট এ সম্ভাবনা কেমন কিংবা এর প্রতিদ্বন্দ্বী কে আছে। প্রতিদ্বন্দ্বী কোম্পানি ও সমজাতীয় অন্য কোম্পানির পণ্য সম্পর্কে যথেষ্ট এনালাইসিস করে তারপর একটি কার্যকর পরিকল্পনা ঠিক করে কাজে নেমে পড়ুন। এতে আপনার উক্ত ব্যবসায়ে সফল হওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।

যেকোনো ব্যবসার জন্যই ধৈর্য ধরা ,কঠোর পরিশ্রম করা, দক্ষতা-চেষ্টা-পারদর্শীতা প্রয়োজনীয়। উৎপাদনমুখী ব্যবসাতে সফল হতে গেলে অবশ্যই আপনাকে আত্মবিশ্বাসী ও লক্ষ্য অর্জন করার অবিচল মানসিকতা থাকতে হবে।

FAQ

পৃথিবীর সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কোনটি

পৃথিবীর সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা এর তালিকায় প্রথম সারিতেই আসবে তেল এবং গ্যাস কোম্পানিগুলো। এর পরেই আসবে টেক রিলেটেড কোম্পানি এবং এর পরের তালিকায় আসবে অস্ত্র বিক্রেতা কোম্পানিগুলো।

কোন ব্যবসায় শুরুর খরচ বেশি হয়?

সাধারণত স্টার্ট আপ ব্যবসা গুলোতে শুরুর দিকে খরচ বেশী হয়। এই সময়ের বিনিয়োগকে বারনিং পিরিয়ড ও বলা যায়।

কিভাবে অল্প পুঁজিতে ব্যবসা করা যায়?

যে কোন ব্যবসায়ে কত বিনিয়োগ বা পুঁজি লাগবে সেটা নির্ভর করে প্রাথমিক পরিকল্পনার উপর। ব্যবসা শুরুর প্রথম দিকে ছোট আকারে শুরু করা, অপ্রয়োজনীয় খরচগুলো বাদ দেয়া, অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বিনিয়োগ করা, ওয়ার্কিং ক্যাপিটালকে প্রাধান্য দিয়ে সেট আপ খরচ যতটা সম্ভব কমিয়ে এনে অল্প পুঁজিতে ব্যবসা শুরু করা যায়।

কিছু আধুনিক ব্যবসার আইডিয়া কি কি?

আধুনিক ব্যবসার কিছু আইডিয়া নিম্নে দেয়া হল।
১। এপ ভিত্তিক ডেলিভারি।
২। রেডিমেড আইসক্রিম তৈরির ব্যবসা।।
৩। কিডস টয় শপ এর ব্যবসা।
৪। কাস্টমাইজড ওয়েডিঙ ড্রেস তৈরির ব্যবসা।
৫। মোবাইল সার্ভিসিং এর ব্যবসা।

Similar Posts

মন্তব্য করুন

আপনার ই-মেইল এ্যাড্রেস প্রকাশিত হবে না। * চিহ্নিত বিষয়গুলো আবশ্যক।