ডিলারশিপ ব্যবসা কেমন? বাছাই করা কিছু ডিলারশিপ ব্যবসা
ডিলারশিপ ব্যবসা নিয়ে আলোচনার শুরুতেই আমাদের জানতে হবে ডিলারশিপ কি? ডিলারশিপ হল কোন একটি নির্দিষ্ট কমিশন এবং আনুসংগিক সুযোগ সুবিধার বিনিময়ে কোন একটি নির্দিষ্ট এলাকায় কোন কোম্পানি বা ব্র্যান্ডের পন্যসামগ্রী পাইকারি অথবা খুচরা বিক্রেতাদের নিকট বিক্রি করা।
এই ব্যবসাটি অন্যান্য ব্যবসার চেয়ে তুলনামূলক নিরাপদ এবং লাভজনক ব্যবসা। অবশ্য এক্ষেত্রে আপনি যে ডিলারশিপ করবেন সেটি প্রতিষ্ঠিত ব্র্যান্ড বা মার্কেট এ চাহিদা আছে এমন পন্য হওয়া উচিত। ভালো এবং প্রতিষ্ঠিত কোম্পানিগুলোর ডিলারশিপ যারা করে থাকেন তাদের অধিকাংশই দীর্ঘদিন এই ব্যবসা করেন। কারণটা হল মার্কেট এ উক্ত কোম্পানির পন্যের চাহিদা, প্রতিযোগিতামূলক কমিশন এবং কার্যকর ডিলার পলিসি। একই সাথে পন্যের ডিমান্ড ধরে রাখা বা বাড়ানোর জন্য কোম্পানির ধারাবাহিক কার্যক্রমও এক্ষেত্রে ডিলার এর কোম্পানির ব্যবসা সম্পর্কে আস্থা তৈরিতে সাহায্য করে।
তাই আপনি যদি একটি ভালো ব্র্যান্ড এর ডিলারশিপ নির্বাচন করতে পারেন এবং সঠিক ব্যবসায়িক পরিকল্পনা নিয়ে ব্যবসা করতে পারেন, তাহলে এই ব্যবসাতে আশাতীত সাফল্য পাওয়া সম্ভব। এই আর্টিকেলটি তাদের জন্য যারা এধরনের একটি লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া খুঁজছেন কিন্তু কি ডিলারশিপ ব্যবসা করবেন এ নিয়ে ভালো ধারণা নেই। আপনার যদি এই ধরনের ব্যবসা নিয়ে আগ্রহ থাকে, তাহলে এই আর্টিকেল এ দেয়া ৫ টি সেরা ডিলারশিপ ব্যবসা থেকে আপনার সুবিধামত যেকোন একটি ব্যবসা শুরু করতে পারেন।
ডিলারশিপ ব্যবসা কি?
ডিলারশিপ ব্যবসা হল কোন কোম্পানির পক্ষে একটি নির্দিষ্ট এলাকায় কমিশন এর বিনিময়ে উক্ত কোম্পানির পন্য বা সেবার বিপনন, বিক্রয় ও পরিবেশন করা। এক্ষেত্রে উক্ত ডিলার কোম্পানির পক্ষ থেকে চুক্তি অনুযায়ী নির্দিষ্ট কমিশন পেয়ে থাকে।
ডিলারশিপ ব্যবসা সংক্রান্ত কিছু প্রয়োজনীয় তথ্য
আপনার কাছে যদি ৪-৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করার মত টাকা থাকে এবং সেলস সম্পর্কে মোটামুটি আইডিয়া থাকে তাহলে আপনি প্রথমদিকে ভালো কোন ব্র্যান্ড এর ছোট একটি থানা এলাকায় এই ব্যবসা শুরু করতে পারেন। এমনকি আপনার যদি বিনিয়োগ করার মত যথেষ্ট টাকা থাকে তাও প্রাথমিক পর্যায়ে আপনার পরিবেশক ব্যবসা ছোট আকারে শুরু করাই উত্তম। এতে আপনি ধীরে ধীরে ব্যবসাটি সম্পর্কে জানতে পারবেন, ব্যবসাটির সম্ভাবনা, ঝুঁকি, সম্ভাব্য খরচ, লাভ সম্পর্কে আপনার আইডিয়া তৈরি হবে। যখন ব্যবসাটি আপনি ভালোভাবে বুঝে উঠবেন, তখন আপনি ধীরে ধীরে ব্যবসাটিতে বড় আকারে বিনিয়োগ করার সিদ্বান্ত নিতে পারবেন। এমনকি সম্ভাবনা থাকলে আপনি নতুন নতুন পন্যের ডিলারশিপ ও শুরু করতে পারবেন।
যখন আপনি কোন কোম্পানির ডিলারশিপ নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে যাবেন, আপনার মোট বিনিয়োগটি সঠিক পরিকল্পনা করে তারপর বিনিয়োগ করতে পারেন। এতে আপনার ব্যবসাটি সম্ভাব্য বিনিয়োগ সংকটে পড়বেনা। এবার দেখে নিন আপনার বিনিয়োগটি সম্ভাব্য ডিলারশিপ ব্যবসাতে কিভাবে বিনিয়োগ করবেন।
- পন্য উত্তোলন এবং কোম্পানি নির্ধারিত নির্দিষ্ট পরিমাণ স্টক মেইনটেইন করার জন্য বিনিয়োগের একটি অংশ ব্যবহার করবেন।
- সব কোম্পানি না হলে ও কিছু কোম্পানি ডিলারশিপ এর জন্য একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ সিকিউরিটি ডিপোজিট রাখে। অথবা কিছু কোম্পানি মিনিমাম বিনিয়োগ ব্যবসাতে রাখতে বলে। উক্ত মিনিমাম বিনিয়োগ ব্যবসাতে রাখতে হবে।
- বিনিয়োগের একটি অংশ চলতি মূলধন হিসেবে থাকতে হবে। এই বিনিয়োগ আপনি নিয়মিত কোম্পানি থেকে পন্য উত্তোলনের কাজে ব্যবহার করবেন।
- ক্ষেত্রবিশেষে মার্কেট এ বাকিতে পন্য বিক্রয় করতে হতে পারে। এ বাবদ বিনিয়োগ এর একটি অংশ রাখতে হবে।
সেরা ডিলারশিপ ব্যবসা এর তালিকা
বাজারে সেক্টরভিত্তিক অনেক ডিলারশিপ ব্যবসা রয়েছে। তবে বিনিয়োগের পরিমাণ, ব্যবসার অভিজ্ঞতা, লাভ ও ঝুঁকির পরিমাণ সব কিছু যাচাই বাছাই করে তারপরই ডিলারশিপ ব্যবসা নিয়ে কাজ শুরু করা উচিত। এই আর্টিকেল এ ৫টি সেরা ডিলারশিপ ব্যবসার আইডিয়া দেয়া হল। আশা করি এটি আপনাকে সঠিক ব্যবসাটি নির্বাচনে সহায়তা করবে।
- ভোজ্য তেলের ডিলারশিপ।
- সিমেন্টের ডিলারশিপ।
- ইলেকট্রনিকস পণ্যের ডিলারশিপ।
- স্টেশনারি পণ্যের ডিলারশিপ।
- গুঁড়া মশলার ডিলারশিপ।
সম্পর্কিত পোস্ট- চা পাতার ব্যবসা
ভোজ্য তেলের ডিলারশিপ
যা কিছু হয়ে যাক দেশে, রান্নার কাজ কিন্তু থেমে থাকবে না। সেই সাথে রান্নার তেলের চাহিদাও কমবে না। অর্থাৎ এই পণ্যের দাম যতই বাড়ুক, এর চাহিদা কখনো কমবে না। তাই ভোজ্য তেলের ডিলারশিপ এর ব্যবসা সবসময়ই রমরমা।
ফ্রেশ, রূপচাদা, বসুন্ধরা, পুষ্টি ও তীরসহ বেশ কয়েকটি নামি ব্র্যান্ডের ভোজ্যতেল পাওয়া যায় বাজারে। প্রথমে আপনাকে রিসার্চ করে দেখতে হবে আপনার এলাকায় কোন কোম্পানির তেলের চাহিদা বেশি। পর্যাপ্ত মার্কেট রিসার্চ করে যে ব্র্যান্ডটির ডিলারশিপ আপনি করতে চান, তাদের সাথে যোগাযোগ করবেন।
আপনি যদি ছোট একটা থানা এলাকায় ডিলারশিপ শুরু করেন তাহলে মার্কেট এর সাইজ অনুযায়ী নামি ব্রান্ডের ক্ষেত্রে ৬-৭ লাখ টাকা এবং নতুন ব্র্যান্ড এর ক্ষেত্রে ২-৩ লাখ টাকা বিনিয়োগ লাগতে পারে। ব্যবসা শুরুর দিকে সব ধরনের খরচ শেষে মাসে ২৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকা লাভ করা সম্ভব। যেটা সময় ও চাহিদা ভেদে আরো বাড়তে পারে।
সম্পর্কিত পোস্ট- বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা।
সিমেন্টের ডিলারশিপ
নগরায়নের সঙ্গে সঙ্গে সিমেন্টের চাহিদাও দিন দিন বাড়ছে। তাই এই সময় সিমেন্ট হতে পারে আপনার জন্য চমৎকার একটি ডিলারশিপ ব্যবসা। বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি সেরা সিমেন্ট কোম্পানি হচ্ছে শাহ সিমেন্ট, সেভেন রিংস, বসুন্ধরা, ফ্রেশ, প্রিমিয়াম, ক্রাউন ইত্যাদি।
আপনি যেই সিমেন্ট কোম্পানির ডিলারশিপ নিতে চান, সেই কোম্পানির ডিলার আপনার এলাকায় অলরেডি আছে কিনা সেই খোঁজ করে নিবেন। যদি ২/৩ কিলোমিটারের মধ্যে কেউ না থাকে সেরকম জায়গায়, মেইন রোডের পাশে একটি বড়সড় গোডাউন নিয়ে ডিলারশিপ শুরু করতে পারেন।
ডেভেলপ হচ্ছে এরকম কোন আবাসিক এলাকার আশেপাশে গোডাউন হলে সবচেয়ে ভাল। শুরু দিকে ৫০০-৭০০ বস্তা সিমেন্ট স্টক এ রাখতে হতে পারে। যেটা বিভিন্ন কোম্পানির ক্ষেত্রে মিনিমাম স্টক রাখার নিয়ম বিভিন্ন রকম হতে পারে। এই ব্যবসায়ে শুরুর দিকে আপনার ৫-৭ লাখ টাকা বিনিয়োগ লাগতে পারে।
ইলেকট্রনিকস পণ্যের ডিলারশিপ
বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশে ইলেকট্রনিকস পণ্যের ব্যবসা রমরমা। মানুষের মধ্যে ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য ব্যবহার এর প্রবণতা বাড়তে থাকায় দেশে ইলেকট্রনিকস পন্যের বাজার দিন দিন বাড়ছে। এছাড়া আমাদের লোকাল ইলেক্ট্রনিক্স মার্কেট সাইজ ও যথেষ্ট বড়। বাংলাদেশের বেশ পরিচিত কয়েকটি ইলেকট্রনিক কোম্পানি ভিশন, মার্সেল, ওয়ালটন, মিনিস্টার, যমুনা দেশের বাজার বেশ ভালো ব্যবসা করছে। সাথে সিংগার, শার্প, সনি এর মত মালটিন্যাশনাল ইলেকট্রনিকস ব্র্যান্ড গুলো ও ভালো ব্যবসা করছে।
এই ডিলারশিপ ব্যবসায় আপনি ১০-১২ লক্ষ টাকা নিয়ে নেমে পড়তে পারেন। প্রথমে, আপনাকে কোম্পানির সাথে চুক্তিবদ্ধ হয়ে মালামাল ক্রয় করতে হবে এবং আপনার জন্য নির্ধারিত এরিয়াতে ডিলারশিপ শুরু করতে হবে। এক্ষেত্রে শুধু এস. আর এর উপর নির্ভর করা যাবে না। নিজেকেও মার্কেটে যথেষ্ট সময় দিতে হবে।
১০-১২ লক্ষ টাকা ইনভেস্টমেন্টে আপনি শুরুর দিকে সব ধরনের খরচ বাদ দিয়ে ৫০ হাজার টাকা থেকে ৬০ হাজার টাকা মাসে ইনকাম করতে পারেন। যত বেশি সুনাম অর্জন করতে পারবেন, গ্রাহকদের সাথে ভালো সম্পর্ক বজায় রাখতে পারবেন, আপনার রিটেইল ও গ্রাহক নেটওয়ার্ক যত বড় হবে, তত বেশি সেল হবে এবং আপনার মুনাফাও বাড়বে। এছাড়া কিছু ইলেক্ট্রনিক্স কোম্পানি আছে যারা লেনদেনের উপর ভিত্তি করে ডিলারদের বাকিতে পন্য দিয়ে থাকে। কোম্পানি থেকে বাকিতে পন্য পেলে আপনার পন্য স্টক এর ক্ষমতা বাড়বে যেটি আপনাকে অধিক বিক্রয় এ সাহায্য করবে।
সম্পর্কিত পোস্ট- লস ছাড়া ব্যবসা।
স্টেশনারি পণ্যের ডিলারশিপ
নিত্য প্রয়োজনীয় বই, খাতা, কাগজ, কলম, স্কেল, পেন্সিল, আর্ট পেপার, প্রিন্টিং পেপারস ইত্যাদি কে বলা হয় স্টেশনারি পণ্য। অর্থাৎ, শিক্ষাক্ষেত্রে, অফিসের কাজের নিত্য প্রয়োজনীয় সব দ্রব্য। স্টেশনারি পন্যের ডিলারশিপ ব্যবসা করার বড় সুবিধা হলো এই ব্যবসাটি অনেকটাই ঝুঁকিমুক্ত এবং কম বিনিয়োগে ভালো আয় করা যায়।বাজারে বিভিন্ন স্টেশনারি পণ্যের কোম্পানি আছে। যেমন ম্যাটাডোর, আইভেন, আরএফএল এর গুড লাক ইত্যাদি।
মোটামুটি ২ লাখ থেকে ৩ লাখ টাকা বিনিয়োগেই আপনি এই সমস্ত কোম্পানির ডিলারশিপ পাবেন। ষ্টেশনারী পন্যের ডিলারশিপ এ প্রতিষ্ঠিত ব্রান্ডগুলো মোটামুটি ৮%-১২% কমিশন অফার করে থাকে। অখ্যাত বা নতুন কোম্পানিগুলো মার্কেট ধরার জন্য এর চাইতে ও বেশী কমিশন অফার করে থাকে। যদি আপনি একটি ভালো ব্রান্ডের ডিলারশিপ নেন এবং আপনার মাসিক বিক্রয় যদি ৫ লাখ টাকা হয় , তাহলে আপনার মোট কমিশন দাঁড়াবে প্রায় ৪০০০০ থেকে ৬০০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
সম্পর্কিত পোস্ট- ২ লাখ টাকায় ব্যবসা
গুঁড়া মশলার ডিলারশিপ
বিভিন্ন রকম গুঁড়া মশলা যেগুলো রান্নায় ব্যবহৃত হয়, তা হচ্ছে, ধনিয়া, জিরা, হলুদ, মরিচ, বিরিয়ানি মশলা ইত্যাদি। বাংলাদেশে রাধুনী, প্রাণ, বিডি ফুড, ফ্রেশ সহ বেশ কিছু ব্র্যান্ডেড মশলা কোম্পানি আছে এবং এদের প্রত্যেকটি ব্র্যান্ডই দেশের মার্কেট এ ভালো ব্যবসা করছে। আপনি এসব ব্রান্ডের ডিলারশিপ ব্যবসা করতে পারেন।
গুঁড়া মশলার ব্যবসা আপনি খুবই কম পুঁজিতে শুরু করতে পারবেন। মোটামুটি ২ লাখ টাকা যদি ইনভেস্ট করতে পারেন, তাহলে শুরুর দিকে প্রতিদিন ৩০-৪০ কেজি মশলা সাপ্লাই দিতে পারলে আপনার মাসে আয় থাকবে ২৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার টাকার মত। তবে মার্কেট এ সেলস বাড়লে মার্কেট এ পর্যাপ্ত পন্য সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য আপনাকে আরও বিনিয়োগ করা লাগবে। কারণ মার্কেট এ পর্যাপ্ত পন্য থাকলে আপনার সেলস বেশী হবে, আর যত বেশী সেলস তত বেশী লাভ।
২০২৩ এ আরও ১০টি লাভজনক ডিলারশিপ ব্যবসা
উপরে উল্লিখিত ডিলারশিপ ব্যবসাগুলো ছাড়াও ২০২৩ এর প্রেক্ষাপটে জনপ্রিয় ও লাভজনক ১০টি ডিলারশিপ ব্যবসার তালিকা নিম্নে দেয়া হল।
- ভোগ্যপণ্য
- মোবাইল ফোন
- মোবাইল রিচারজ ও সিম বিক্রি
- ট্রাভেল এন্ড টিকেটিং
- মবিল এর ডিলারশিপ
- এলপিজি গ্যাস
- বেভারেজ আইটেম
- মুরগি/মাছের খাদ্য
- সারের ডিলারশিপ
- চাউলের ডিলারশিপ
পরিশেষ
ডিলারশিপ ব্যবসার সবচেয়ে ভালো দিক হলো এই ব্যবসায় ঝুঁকি কম এবং সঠিকভাবে ব্যবসা করতে পারলে লসের সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। নষ্ট বা ক্ষতিগ্রস্থ পন্য রিটার্ন, পন্যের আফটার সেলস সার্ভিস সহ কোম্পানির পন্যের আনুষঙ্গিক দেখভাল অধিকাংশ নামিদামি কোম্পানিই করে থাকে। তাই দেখে শুনে বিশ্বস্ত, নামি ও প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির ডিলারশিপ ব্যবসা করতে পারলে এই ব্যবসায়ে তুলনামূলক ঝুঁকি কম।
তবে অন্যান্য ব্যবসার মত এই ব্যবসায়ে কিছুটা ঝুঁকিও আছে যদি আপনি বাছবিচার ছাড়াই বাকিতে ব্যবসা করেন এবং মার্কেট এ আপনার বাকি আদায়ের উপর আপনার পর্যাপ্ত নিয়ন্ত্রণ না থাকে। কারণ মার্কেট এ দেয়া বাকি টাকা সঠিক সময়ে ফেরত না আনতে পারলে আপনি মূলধন সংকটে পরতে পারেন। একই সাথে আপনার ব্যবসায়ে আদায় অযোগ্য বাকি বেড়ে যেতে পারে যা আপনার ব্যবসা চালানোর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠবে।
তবে ঝুঁকি যেকোন ব্যবসায়ে থাকে। মূল ব্যাপারটি হচ্ছে আপনি ব্যবসাটি কিভাবে পরিচালনা করছেন। যদি আপনার বিনিয়োগ প্রয়োজনমত থাকে এবং আপনার ব্যবসা পরিচালনায় ভুল না থাকে তাহলে ডিলারশিপ ব্যবসাতে আপনি অবশ্যই লাভ করতে পারবেন।
আর ও পড়ুন- নতুন ব্যবসার আইডিয়া।
FAQ
ডিপো ব্যবসা হল কোম্পানির পন্য গুদামজাতকরন যেখান থেকে আশেপাশের ডিলারদের পন্য সরবরাহ করা হয়ে থাকে। মুলত কোম্পানিগুলো নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় এরিয়াভিত্তিক পন্য স্টক রাখার ঝামেলা ও খরচ কমানোর জন্য থার্ড পার্টি এর মাধ্যমে ডিপো পরিচালনা করে থাকে। যে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান ডিপো পরিচালনা করে তারা এই ডিপো এর মাধ্যমে স্টক করা মোট পন্যের উপর একটা কমিশন পেয়ে থাকে।
ডিপো ব্যবসাতে ডিপো থেকে ডিলার এর নিকট পন্য সরবরাহ করা হয়। অন্যদিকে ডিলারশিপ ব্যবসাতে ডিলার এর স্টক থেকে খুচরা দোকানে পন্য সরবরাহ হয়।