বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা, ৫টি অসাধারণ ব্যবসার আইডিয়া!
বর্তমান সময়ে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা কি? ব্যবসার আইডিয়া অনেক পাবেন কিন্তু বিনিয়োগ, লাভ ও ঝুঁকি বিবেচনায় লাভজনক কোনটি, এটা বের করা সহজ নয়। আপনাদের সুবিধার্থে তাই হরেক রকম business ideas এর মধ্য থেকে বাছাই করে অসাধারন লাভজনক কিছু ব্যবসার আইডিয়া এই লেখায় দেয়া হলো।
বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা- বাছাই করা ৫টি অসাধারণ ব্যবসার আইডিয়া
আপনার মাথায় প্রশ্ন আসতে পারে, বর্তমানে সবচেয়ে ভালো ব্যবসা কি? ভালো ব্যবসা মানে যে ব্যবসাটি সবচেয়ে বেশী লাভজনক। এখানে বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা এর ৫টি তালিকা দেয়া হল, আশা করি এই ব্যবসার আইডিয়া গুলো সবার পছন্দ হবে।
ক্রমিক নং | ব্যবসার নাম |
১ | ট্যুর অপারেটর এর ব্যবসা |
২ | শুঁটকি ব্যবসা |
৩ | রড সিমেন্ট এর ব্যবসা |
৪ | আবাসিক হোটেল এর ব্যবসা |
৫ | ড্রাগন ফল এর ব্যবসা |
পাঠকদের বুঝার সুবিধার্থে ব্যবসা গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত দেয়া হল।
ট্যুর অপারেটর এর ব্যবসা (Tour Operator Business)
দমবন্ধ করা প্রতিদিনকার জীবন থেকে ছুটি পেতে মানুষের ভ্রমনপ্রিয়তা বাড়ছে দিনকে দিন। তাই এই সময় ট্যুরিজম হতে পারে অন্যতম একটি ব্যবসার আইডিয়া এবং বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা গুলোর মধ্যে একটা। সঠিক পরিকল্পনা এবং সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং এ দক্ষতা থাকা থাকলে এ ব্যবসায়ে ভালো করা সম্ভব।
ট্যুর অপারেটর এর ব্যবসা শুরু করতে আপনার কি কি প্রয়োজন?
- পরিকল্পনা
- ট্রেড লাইসেন্স ও রেজিস্ট্রেশন
- ব্যাংক একাউন্ট
- অফিসঘর
- ওয়েবসাইট
- ট্যুরিজম বোর্ডে রেজিষ্ট্রেশন
ট্যুরিজম নিয়ে ব্যবসায় নামতে গেলে প্রথমেই আপনার পুরো ব্যবসার ছকটি এঁকে ফেলতে হবে। কোথায় কোথায় ভ্রমণ কাজ পরিচালনা করবেন সেসব জায়গা সম্বন্ধে পর্যাপ্ত জ্ঞান অতি আবশ্যকীয়। যাবার সময়ের গাড়ি, সেখানকার হোটেল মালিক, এদের সাথে আগে থেকেই চুক্তি করে রাখা ভালো। চুক্তির ১০-২০ শতাংশ লাভ আপনি পাবেন।
নিকটস্থ সিটি কর্পোরেশন, জেলা, উপজেলা যেকোনো জায়গা থেকে ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণ করতে পারবেন। তারপর বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ডে রেজিষ্ট্রেশন করতে হবে। ব্যবসা সংক্রান্ত যেসমস্ত লেনদেন প্রয়োজন তার জন্য আলাদা একটি ব্যাংক একাউন্ট খোলা অত্যাবশ্যক।
এই ব্যবসাটির জন্য আপনার খুব বেশি জায়গার দরকার হবেনা। ছোট খাট একটি টিপটপ অফিস অথবা আপনার বাসাকেই অফিস বানিয়ে ট্রাভেল এজেন্সিটি শুরু করে দিতে পারেন। বাকিসব কাজ হবে আপনার ওয়েবসাইটে। আপনি বুকিং পাবেন সাইট থেকেই আবার আপনার এজেন্সির ফিচারগুলো সম্পর্কেও বিস্তারিত মানুষ জানতে পারবে এখানেই। এরপর বিভিন্ন ফেসবুকীয় ট্রাভেল গ্রুপ গুলোতে আপনার এজেন্সির বিজ্ঞাপন দিতে থাকবেন। ধীরে ধীরে আপনার পর্যাপ্ত গ্রাহক আসতে শুরু করবেন। আপনার যদি বাজেট কম বা একদম বাজেটই না থাকে তাহলে একটা ফেসবুক পেজ খুলে বিভিন্ন Travel রিলেটেড গ্রুপ এ এড হয়ে ও ব্যবসাটি শুরু করে দিতে পারেন।
সকল খরচ বাবদ যা আসে তার থেকে যদি ৫০০-৭০০ টাকা করে বেশি ফি ধরতে পারেন, তাহলে ৩০ জনের একটি ট্রাভেলিং গ্রুপ থেকে আপনি পাবেন ১৫০০০-২১০০০। এভাবে মাসে দুই থেকে তিনটি ভ্রমণেই ইনকাম করতে পারেন ৪৫০০০-৬৩০০০ টাকা পর্যন্ত। সাধে কি আর ট্যুরিজম কে বর্তমান সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসার মধ্যে ধরা হয়!
এই ব্যবসাটিকে বিনা পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা ও বলা যায়। কারণ, ট্যুর অপারেটর হিসেবে যদি আপনার গ্রহণযোগ্যতা থাকে তাহলে আপনি কাস্টমারদের থেকে অগ্রিম টাকা নিয়ে ও ট্যুর এর প্রাথমিক খরচপাতি মিটিয়ে দিতে পারেন।
সম্পর্কিত পোস্ট- ১০ হাজার টাকায় ২৫টি ব্যবসার আইডিয়া।
শুঁটকি ব্যবসা (Dry Fish Business)
প্রতিবছর ব্যাপকহারে বাড়ছে শুঁটকি ব্যবসার সম্প্রসারণ ও চাহিদা। বেশ রুচিবর্ধক খাদ্য হওয়ার দেশের বাইরে বিদেশেও শুঁটকির জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা এর অন্যতম হল শুঁটকি ব্যবসার আইডিয়া। এটি একটি অন্যতম জনপ্রিয় ব্যবসার আইডিয়া।
শুঁটকি ব্যবসা শুরু করতে কি কি প্রয়োজন?
- খোলামেলা জায়গা নির্বাচন।
- শুঁটকি প্রক্রিয়াজাত করার প্রয়োজনীয় উপাদান।
- দোকানঘর।
শুঁটকি ব্যবসার জন্য সবচাইতে উপযোগী জায়গা হলো সমুদ্রের কাছাকাছি অঞ্চল গুলো। যেমন কুতুবদিয়া, বাঁশখালী, টেকনাফ, কক্সবাজার ইত্যাদি। অক্টোবর থেকে মার্চের সময়টাতে এসব অঞ্চলে শুঁটকি প্রক্রিয়াজাত করা হয়। সাপ্লাইয়ার থেকে কিনে এনে বিক্রি তো করাই যায় তবে যত হাতবদল হবে লাভের পরিমাণ ততই কমবে। তাই কাঁচা মাছ কিনে সঠিক প্রক্রিয়ায় শুঁটকি শুকিয়ে, নিজেই দোকানে তুলে বিক্রি করতে পারে।
শুঁটকি ব্যবসায়ে লাভ কেমন
উদাহরন দিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছি শুঁটকি ব্যবসায়ে লাভের ব্যাপারটি।
প্রতি সাড়ে ৩ কেজি কাঁচা পুঁটি মাছ থেকে আপনি এক কেজি শুঁটকি উৎপাদন করতে পারেন। কাঁচা পুঁটি মাছের কেজি সিজনভেদে ৮০-১০০ টাকা। তাহলে শুধু মাছ বাবদ খরচ হল ২৮০ থেকে ৩৫০ টাকা। এবার লেবার কষ্ট, প্রসেসিং খরচ, সংরক্ষণ খরচ প্রতি কেজিতে ১০০ থেকে ১২০ টাকা। তাহলে দেখা যাচ্ছে, প্রতি কেজি পুঁটি শুঁটকির এভারেজ উৎপাদন ও সংরক্ষণ খরচ হচ্ছে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা।
পাইকারি বাজারে লবণযুক্ত শুঁটকি এভারেজ ৬০০ টাকায় ও লবণ বিহীন শুঁটকি এভারেজ ৮০০ টাকায় কেজি প্রতি বিক্রি হয়, তবে খুচরা বাজারে আপনি ১০০০-১২০০ টাকায় সেসব বিক্রি করতে পারেন। আপনি যদি পাইকারি বাজারে ও বিক্রি করেন তাহলে প্রতি কেজিতে আপনার লাভ হচ্ছে গড়ে প্রায় ৪০%। এবার বুঝতেই পারছেন লাভ বিবেচনায় শুঁটকি এর ব্যবসা কতটা লাভজনক!
বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসার মধ্যে শুঁটকি কে বিবেচনা করার কারণ হল এর বিশাল বাজার, সহজে নষ্ট না হওয়া এবং এর লাভের মার্জিন এর কারনে।
সম্পর্কিত পোস্ট- ৩ লাখ টাকার ব্যবসা।
রড সিমেন্ট এর ব্যবসা (Rod Cement Business)
প্রতিটা মানুষের স্বপ্ন থাকে নিজের একটি বাড়ি। সেই বাড়ির বানানোর মূল উপাদান হল রড সিমেন্ট। এই রড সিমেন্ট এর চাহিদা তাই সারা বছরই থাকে। তাই বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা গুলোর একটি হল রড সিমেন্ট এর ব্যবসা। মোটামুটি ১০-১৫ লাখ টাকা বিনিয়োগের ব্যবসার আইডিয়া এর মধ্যে এটি অন্যতম।
রড সিমেন্ট এর ব্যবসায়ে কি কি প্রয়োজন?
- রড সিমেন্টের স্টক অথবা Dealership।
- দোকানঘর।
- ট্রেড লাইসেন্স।
প্রথমে আপনাকে প্রয়োজনীয় মালামাল অর্থাৎ রড-সিমেন্ট দোকানে তুলতে হবে। এ ব্যবসায়ে প্রতিষ্ঠিত কোন কোম্পানির ডিলারশিপ থাকলে সবচেয়ে ভাল হয়। দোকানঘরটি এমন জায়গায় নেয়া উচিত যার আশপাশে আবাসন খাতের ভালো সম্ভাবনা রয়েছে। চেষ্টা করবেন অক্টোবরের মধ্যে এই ব্যবসায় নামতে কারণ অক্টোবর-মার্চ/এপ্রিল এই ব্যবসার রমরমা সময়। এতে শুরুর দিকে ১০ লাখ টাকার কম বেশী পুঁজি হলে ভাল।
সবখরচ মিটিয়ে শুরুর দিকে হাতে বিনিয়োগের একটা অংশ অতিরিক্ত রাখলে ভাল যাতে যে কোন দরকারে কাজে লাগে। মাসে যদি ৭-৮ টন রড ও ৮০০-১০০০ বস্তা সিমেন্ট বিক্রি করতে পারেন, তাহলে মাসের শেষের আপনি ৪০০০০-৫০০০০ টাকা নিট আয় করতে পারবেন।
সম্পর্কিত পোস্ট- স্টক ব্যবসার আইডিয়া।
আবাসিক হোটেল এর ব্যবসা (Residential Hotel Business)
ভ্রমণবিলাস অথবা জীবনের প্রয়োজনে নানান জায়গায় আমাদের আসা যাওয়া করতে হয়। একটা ভালো নিরাপদ Residential hotel এর প্রয়োজনীয়তা আমরা সকলেই অনুভব করি তখন। বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা এর কাতারে পড়ে আবাসিক হোটেলের ব্যবসা প্রধানত এই ব্যবসাটির বাড়তে থাকা চাহিদা ও লাভ বিবেচনায়। বর্তমানে মানুষের মধ্যে ট্যুর করার প্রবণতা বাড়তে থাকায় এই ব্যবসার আইডিয়া জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
আবাসিক হোটেল এর ব্যবসায়ে কি কি প্রয়োজন?
- সঠিক জায়গা নির্বাচন
- হোটেল তৈরি অথবা ভাড়া নেওয়া
- খাবার ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা
- প্রশিক্ষিত কর্মী
- লাইসেন্স
আবাসিক হোটেলের জন্য আপনি কক্সবাজার, বান্দরবান, সিলেট এমন দর্শনীয় স্থান যেমন বেছে নিতে পারেন তেমনি রাজধানী ঢাকাও হতে পারে বেশ উপযোগী স্থান। কাজের প্রয়োজনে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষকে রাজধানীমুখি হতে হয়, একটি ভালো আবাসিক হোটেলের চাহিদাও থাকে তাই তুঙ্গে।
Capital বা Investment বেশি থাকলে, নিজস্ব জায়গা নিয়ে বেশ বড় আকারে হোটেল তৈরি করতে পারেন। অথবা ভালোমানের জায়গায় আবাসিক ভবন ভাড়া নিয়েও শুরু করতে পারেন। Hotel business এর জন্য জেলা প্রশাসনের কাজ থেকে অবশ্যই লাইসেন্স নিতে হবে। প্রতিটি রুমের সরঞ্জামাদি ক্রয় করবেন। তারপর প্রয়োজনীর রান্নাবান্নার উপকরণ ও কর্মী নিয়ে নিজস্ব খাবার মেন্যু বের করতে পারেন। চেষ্টা রাখবেন একটি নিরাপদ ও আরামদায়ক পরিবেশ সৃষ্টি করতে যাতে করে হোটেল ভাড়া একটু বেশি রাখলেও ক্রেতারা স্বাচ্ছন্দ্যে আপনার হোটেলকেই বেছে নেয়।
সম্পর্কিত পোস্ট- দৈনিক আয়ের ব্যবসা।
ড্রাগন ফলের ব্যবসা (Dragon Fruit Business)
বর্তমান বাজারে ড্রাগন ফলের চাহিদা আকাশচুম্বী। এই সুস্বাদু ফলটি দেশে বিদেশে সমানে রাজত্ব করে চলেছে। তাই বর্তমানের সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া গুলোর মধ্যে একটা ড্রাগন ফলের ব্যবসা নিয়ে বিস্তারিত লেখা হলো।
ড্রাগন ফলের ব্যবসায় কি কি প্রয়োজন?
- জমি (যদি নিজে চাষ করেন)
- ড্রাগন ফলের চারা (যদি নিজে চাষ করেন)
- কর্মী
- ড্রাগন ফল উৎস থেকে সংগ্রহের source। (যদি সরাসরি বাগান থেকে কিনে বিক্রি করতে চান)
- ড্রাগন ফল সম্পর্কে পর্যাপ্ত জ্ঞান
এই ব্যবসার জন্য যদি নিজের জমি থাকে তাহলে তো সোনায় সোহাগা অথবা জমি লিজ হিসেবেও নিয়ে শুরু করতে পারেন। অথবা আপনি সরাসরি বাগান থেকে কম মূল্য সংগ্রহ করে পাইকারি অথবা খুচরা বিক্রি করতে পারেন। মনে রাখতে হবে, এই ফলটি আমাদের দেশের ধান, পেঁয়াজের মত চিরপরিচিত কোনো ফসল নয়। তাই পর্যাপ্ত খুঁটিনাটি জ্ঞান অত্যন্ত প্রয়োজন। বাংলাদেশ সরকারের “কৃষি বাতায়ন” ওয়েবসাইট থেকে পেয়ে যাবেন ড্রাগন চাষের জন্য প্রয়োজনীয় সব তথ্য। স্থানীয় কৃষি অফিস থেকে ও আপনি প্রয়োজনীয় সহায়তা পাবেন।
যদি আপনি নিজে চাষ করেন সেক্ষেত্রে বাজার থেকে (যেখান থেকে পাওয়া যায়) ৫০-২০০ টাকা দরে প্রতিটা চারা কিনে রোপণ করতে পারেন। রোপণের এক বছরের মাথাতেই ফল আসা শুরু করে এই গাছে। পূর্ণমাত্রায় ফলনের পর প্রতি কেজি ফল বিক্রি করতে পারবেন ২৫০- ৩০০ টাকাতে। পাশাপাশি ড্রাগন ফলের চারা বিক্রি করেও আয় করতে পারবেন। শুরুর দিকে যদি ২০০ কেজি ফল বিক্রিও করতে পারেন মাসে আপনার আয় থাকছে ৫০০০০ এর মতো। লাভ পেতে শুরু করলে ধীরে ধীরে ব্যবসার পরিধি আরো বাড়াতে পারবেন। এই ব্যবসার আইডিয়া লাভজনকতা বিবেচনায় আপনাকে চমকে দিতে পারে।
সম্পর্কিত পোস্ট- উৎপাদনমুখী ব্যবসার আইডিয়া।
আরও পড়ুন- ফার্মেসী ব্যবসা।
বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা এর আরও কিছু তালিকা
উপরে উল্লিখিত ব্যবসা গুলো ছাড়া ও আরও কিছু ব্যবসার আইডিয়া রয়েছে যেগুলো বর্তমানে সময়ের চাহিদা বিবেচনায় লাভজনক ব্যবসার তালিকায় আসতে পারে।
পরিশেষ
উপরে আপনাদের জন্য বাছাই করা বর্তমানে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা এর ৫টি এবং আরও কিছু ব্যবসার তালিকা দেয়া হল। তবে ব্যবসার আইডিয়া যতই লাভজনক হোকনা কেন, সেটা সফল করতে গেলে মূল পরিশ্রম এবং চেষ্টা নিজেকেই করতে হয়। এই ব্যাপারটি মাথায় রাখতে হবে যে পরিশ্রম এবং কাজে লেগে থাকাই আপনাকে যে কোন ব্যবসায়ে সাফল্য এনে দিতে পারে। তাই আর দেরি না করে আজই শুরু করে দিন আপনার পছন্দের ব্যবসা নিয়ে কাজ করার যাত্রা।
আরও পড়ুন- বিনা পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা।
FAQ
এই প্রশ্নের উত্তরে বেশ কিছু ব্যবসার নাম আসবে। কিন্তু সার্বিক বিবেচনায় নিচে কয়েকটি ব্যবসার নাম দেয়া হল যেগুলো সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসার তালিকায় প্রথম সারিতে থাকবে।
১। মাছের ব্যবসা।
২। শুঁটকি ব্যবসা।
৩।আবাসিক হোটেল এর ব্যবসা।
৪। রেস্টুরেন্ট এর ব্যবসা।
৫। কাপড়ের ব্যবসা।
ঘরে বসে বিভিন্ন রকম লাভজনক ব্যবসা করা যায়। যেমন-
১। ড্রপশিপিং ব্যবসা
২। কুকিং এবং বেকিং ট্রেনিং
৩। অনলাইনে বাচ্চাদের পোশাকের ব্যবসা
৪। ডিজিটাল মার্কেটিং
৫। কনসালটেন্সি
দশ হাজার টাকা কম মনে হলেও আপনি যদি নির্দিষ্ট কোন ব্যবসায়ে এক্সপার্ট হন তাহলে দশ হাজার টাকা দিয়ে ও ব্যবসা শুরু করতে পারেন এবং ভালো লাভ ও করতে পারেন। নিম্নে এরকম কিছু ব্যবসার নাম দেয়া হল যেগুলো দশ হাজার টাকায় শুরু করা যায়।
১। ফ্রিল্যান্সিং এজেন্সি
২। টিউশন সার্ভিস প্রভাইডর।
৩। কুকিং ট্রেনিং।
৪। যে কোন সেবামুলক ব্যবসা।
৫। হোমমেড আচারের ব্যবসা
অল্প পুঁজি দিয়ে বেশ কিছু ব্যবসা করা যায়। নিচের তালিকাটি দেখতে পারেন।
১। চায়ের দোকান।
২। ফুড কার্ট।
৩। ফুচকা/ভেলপুরি এর ব্যবসা।
৪। জুসবার।
৫। ক্যাটারিং।
৬। অনলাইনে হোমমেড খাবারের ব্যবসা।
৭। অনলাইন টিউশন।
৮। বিউটি পার্লার।
৯। ট্যুর অপারেটর।
১০। ফুটপাথে কাপড়ের ব্যবসা।
5 লক্ষ টাকা দিয়ে করা যায় এমন কিছু ব্যবসা হল পরিবেশক ব্যবসা, মোবাইল ফোন শপ, চাউলের স্টক ব্যবসা, কাপড়ের দোকান, রড সিমেন্ট এর ব্যবসা, রেস্টুরেন্ট এর ব্যবসা ইত্যাদি।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা হিসেবে ঠিকাদারি ব্যবসাকে বিবেচনা করা যায়। এখানে কাজ সম্পূর্ণ শেষ না হওয়া পর্যন্ত কিছু টাকা বিনিয়োগ হিসেবে ব্লক থাকলেও লাভের মার্জিন অনেক বেশী। যদিও এই লাভের মার্জিন বেশী হওয়ার বিভিন্ন অলিখিত কারণ ও আছে।